শিশু-কিশোর-যুবকদের ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতা থেকে দূরে রাখতে স্কাউট আন্দোলন ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, শিশু-কিশোর ও যুবকদের ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিষবাষ্প থেকে নিরাপদ রাখতে স্কাউটিংয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
Advertisement
বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এখানে প্রতিটি নাগরিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মিলে-মিশে বসবাস করে। সব ধর্মীয় উৎসব সার্বজনীনভাবে পালিত হয়। সব ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ কোনো ধর্মই সমর্থন করে না।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্কাউটিংয়ের মোটো হচ্ছে ‘বি প্রিপেয়ার্ড’, যার মর্ম কথা হচ্ছে-সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করার জন্য নিজের মন ও শরীরকে প্রস্তুত রাখা। এ জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যেকোনো জাতীয় প্রয়োজনে অংশ নেয়ার জন্য স্কাউটদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউটদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
Advertisement
বাংলাদেশ স্কাউটস ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক প্লান অনুযায়ী আগামী ২০২১ সালের মধ্যে স্কাউট সংখ্যা ২১ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্কাউটদের গুণগত মান এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, স্কাউটিং এর সুফল সকল পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য গ্রাম, মহল্লা, পাড়ায়-পাড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ও কমিউনিটিভিত্তিক স্কাউটিং চালু করা প্রয়োজন। স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার পাশাপাশি আগামী দিনের যোগ্য নেতৃত্ব তৈরিতে বলিষ্ঠ ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনে শিক্ষক, অভিভাবক, স্কাউট নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে ৩৬৫ স্কাউটকে ‘প্রেসিডেন্টস স্কাউট অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয়। এরমধ্যে ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি ব্যাজ পরিয়ে দেন।
বাংলাদেশ স্কাউটের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে স্কাউটের প্রধান জাতীয় কমিশনার জনপ্রশাসন সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান, স্কাউটের জাতীয় কমিশনার (প্রোগ্রাম) রফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Advertisement
এফএইচএস/আরএস/এএইচ/এমএস