আন্তর্জাতিক

স্বাস্থ্য সক্ষমতা সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা, বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও এর কার্যকর ব্যবহারে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকিংস প্রাইভেট সেক্টর গ্লোবাল হেলথ আর অ্যান্ড ডি প্রজেক্টের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার এ সক্ষমতা সূচকে  ভারতের ভারতের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

Advertisement

১৮ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা সূচকের (এইচজিসিঅাই) শীর্ষে অবস্থান করছে ভিয়েতনাম। ১০০’র মধ্যে দেশটির স্কোর ৮২। এরপরই আছে দক্ষিণ আফ্রিকা (স্কোর ৮১), চীন (৭৭) ও ঘানা (৭৫)। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য গবেষণা ও উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও কার্যকর ব্যবহারে এ কয়েকটি দেশের প্রচুর সামর্থ্য রয়েছে।

এইচজিসিঅাই’র এই সূচকে ৫২ স্কোর পেয়ে একেবারে তলানিতে রয়েছে নাইজেরিয়া। ৫৪ স্কোর পেয়ে পাকিস্তান ১৭তম ও একই স্কোর পেয়ে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (১৬তম)। ১৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫তম (স্কোর ৫৮)।

ব্রুকিংস প্রাইভেট সেক্টর গ্লোবাল হেলথ আর অ্যান্ড ডি’র প্রকাশক ড্যারেল ওয়েস্ট, জন ভিলাসেনর ও জ্যাকি স্নেইডার ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা : বিশ্ব স্বাস্থ্য খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক সমীক্ষা পরিচালনা করেছেন। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো কীভাবে বেসরকারি বিনিয়োগের ফলপ্রসূ ব্যবহার করতে সেবিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন প্রকাশকরা।

Advertisement

আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল ও এশিয়ার ১৮টি দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সক্ষমতার মূল্যায়ন করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা, নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, অর্থায়ন, স্বাস্থ্য শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্য নীতিমালা পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য বিনিয়োগের মূল ভিত্তি হলো সুশাসন।

এসআইএস/এমএস