লাইফস্টাইল

কোথায় কেমন রোদচশমা

তারুণ্য মানেই একটু বাড়তি ফ্যাশন, বাড়তি উন্মাদনা। আমাদের দেশে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই তারুন্যের নতুন ফ্যাশনে সানগ্লাস বাড়তি জনপ্রিয়তা যুক্ত করেছে। বাড়ি থেকে বের হলেই রঙচঙা একটা সানগ্লাস ছাড়া ফ্যাশন যেন জমে না। বাহারি রঙ আর ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনে সমৃদ্ধ সানগ্লাসের সমাহার সারা বাংলাদেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে যদিও বর্হিবিশ্বে সানগ্লাসের ব্যবহার অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয়। গরমের এই সময়ে আপনি যখন বাইরে যাচ্ছেন তখন আপনাকে আর আপনার চোখকে প্রশান্তি দিতে পারে এই সানগ্লাস। একটা সময় ছিল যখন মানুষ কেবল মনে করতো ফ্যাশনের কারণেই সানগ্লাস পরা। কিন্তু সময় বদলেছে। তার সাথে সাথে মানুষের রুচিও। তাই এখন এটি কেবল ফ্যাশন নয়। তবে কোন মুখে আর কোন ধরনের পোশাকের সাথে কেমন সানগ্লাস মানায় তা জানা জরুরি। বর্তমানে গোলাকার ফ্রেমের রোদচশমা পরারও চল হয়েছে। এগুলোকে অনেকে বলছেন হ্যারি পটার ফ্রেম। অনেক তরুণী বেছে নিচ্ছেন প্রিন্টেট ও রংচঙে ফ্রেমের নানা রকম রোদচশমা। আন্তর্জাতিক ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্যাটস আই এবং বাটারফ্লাই ফ্রেমের রোদচশমাও চোখে দিচ্ছেন অনেকে। একটু বড় ফ্রেমের ট্রেন্ড চলছে। চলতি ধারা অনুসরণ করতে গিয়ে বেমানান কোনো ফ্রেম বেছে নিলে চলবে না। কারণ আপনাকে দেখতে হবে আপনাপ মুখে কোনটা মানাচ্ছে। এখন যেসব ফাঙ্কি ধরনের রোদচশমা চলছে, তা পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাকের সঙ্গেই মানানসই। গোলগাল মুখে গোলাকৃতির ফ্রেম না পরে বরং ব্যবহার করা যেতে পারে ক্যাটস আই কিংবা এভিয়েটর ফ্রেমের চশমা। মুখ ডিম্বাকৃতি বা পানপাতার আকৃতির হলে মানিয়ে যাবে গোল ফ্রেমের রোদচশমায়। তবে কোন ফ্রেম মানাবে, সেই প্রশ্নে যেমন মুখের গড়নটা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি চুলের স্টাইলের ওপরেও এটা অনেকটা নিভর্রশীল। গ্লাসে এখন চড়া রঙগুলো খুব ট্রেন্ডি। সবুজ, নীল, কমলার মতো গাঢ় রঙ এখন রোদচশমার গ্লাসে নজরে পড়ছে। দেখা যাচ্ছে কয়েক শেডের ব্যবহারও। হাফ রিমলেস বা ক্লাব মাস্টার ফ্রেম আনুষ্ঠানিক বা ঘরোয়া, দুই ধরনের লুকেই মানিয়ে যায়। তবে এভিয়েটর ফ্রেম ছেলেদের আনুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গেই বেশি মানানসই।দামদর : এই সানগ্লাস গুলোর দাম ১৫০টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০-২৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এইচএন/এমএস

Advertisement