আইন-আদালত

সাভারে স্থানান্তর না হওয়া ট্যানারি বন্ধের নির্দেশ

ঢাকার হাজারীবাগ থেকে যেসব ট্যানারি সাভারে স্থানান্তর করা হয়নি সেসব বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এসব কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের যৌথ বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। আদেশে একই সঙ্গে আগামী ৬ এপ্রিলের মধ্যে এসব অস্থানান্তরিত ট্যানারি বন্ধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ বন্ধে সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা পাচ্ছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) করা এক সম্পূরক আবেদন শুনানিতে ওই বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও মিনহাজুল হক চৌধুরী। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন রইস উদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, হাজারীবাগের সব ট্যানারি কারখানা অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এসব কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ৬ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়নে আদালত স্বরাষ্ট্র, শিল্প সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে সহযোগিতা করতে বলেছেন।আইনজীবী রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, সর্বশেষ ২০১০ সালের অক্টোবরে ছয় মাস সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিলের পর হাজারীবাগে ট্যানারি চালানোর অনুমোদন নেই। এরপরও সরকার চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছে।তিনি বলেন, সময় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার আদালতের অনুমতি নেয়নি। ফলে সরকারের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জানুয়ারিতে আবেদন করি। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত হাজারীবাগের সব ট্যানারি অবিলম্বে বন্ধ এবং কারখানাগুলোর বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্নের আদেশ দিয়েছেন।আইনজীবী রইস উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছি ৪৩টি ট্যানারি সাভারে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া গত ৩১ জানুযারি শিল্প মন্ত্রণালয় হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ বন্ধে বিভিন্ন অধিদফতরের কাছে সহযোগিতা চায়। সরকারের এসব অধিদফতর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয় কতটুকু সহযোগিতা পাচ্ছে সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন আগামী ৬ এপ্রিল দিতে বলেছেন আদালত।তবে এ বিষয়ে আগামী ১০ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে বলেও জানান তিনি।এফএইচ/জেডএ/আরএস/এমএস

Advertisement