আফগানিস্তানে গত কয়েকদিনের তুষারধসের ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একটি গ্রামেই ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। ভয়াবহ একটি তুষারধসের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে আরো কয়েকটি তুষারধসের ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে তুষারধসে বহু বাড়ি-ঘর এবং রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজও ব্যাহত হচ্ছে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মেদ ওমার এএফপিকে জানিয়েছেন, তুষারধসে নুরিসতান প্রদেশের একটি গ্রামেই কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বারগমাতাল জেলার দুই গ্রাম বরফের নিচে চাপা পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা একটি গ্রাম থেকে ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। তারা অন্যান্য গ্রামেও যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ’ এদিকে, উত্তরাঞ্চলীয় এবং কেন্দ্রীয় আফগান প্রদেশে তুষারধসের ঘটনায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ওই প্রদেশগুলোতে তুষারধসের ঘটনায় ১৬৮টি বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়েছে এবং কয়েক শ’ গবাদি পশু নিহত হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বাদাখশানের প্রাদেশিক মুখপাত্র নওয়েদ ফ্রোতেন জানিয়েছেন, তুষারধসের ঘটনায় তিন নারী এবং দুই শিশুসহ কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে। বরফের নিচে বহু মানুষ আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নওয়েদ ফ্রোতেন। উত্তরাঞ্চলী বালখাব জেলার সারিপুল প্রদেশে তুষারধসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে বরফের স্তুপ থেকে কমপক্ষে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় বাদঘিস প্রদেশে তুষারধসে কমপক্ষে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তুষারধসে ওই এলাকায় শতাধিক পশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কাবুলের উত্তরে অবস্থিত পারওয়ান প্রদেশে তুষারধসে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, প্রতিবেশি পাকিস্তানে তুষারধস এবং ভারি বৃষ্টিপাতে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। টিটিএন/আরআইপি
Advertisement