নিয়মটা বহু আগে থেকেই ছিল। যখনই কমনওয়েলথের কোনো জাতীয় ক্রিকেট দল হায়দারাবাদে খেলতে আসতো, তখন রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোশিয়েশন সেই ম্যাচ উপলক্ষে একটি স্যুভেনির বের করতো। সেই ম্যাচটাকে স্মরনীয় করে রাখতে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) যখনই হায়দারাবাদকে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য নির্ধারিত করতো, তখনই তারা এই উদ্যোগ গ্রহণ করতো। কিন্তু নিয়মটা নম্বই দশকের শুরুর দিকে এসে থমকে যায়। গত কয়েক দশক ধরে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ উপলক্ষে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন কোনো স্যুভেনির কিংবা ব্রুশিয়ার বের করেনি। তবে এবার ভারতে প্রথমবারেরমত বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচকে সামনে রেখে পুরনো সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত উদ্যেগ নিয়েছে হায়দরাবাদ রাজ্য ক্রিকেট এসোসিয়েশন।বাংলাদেশ-ভারত ঐতিহাসিক টেস্টকে সামনে রেখে পুরনো সংস্কৃতি অনুযায়ী একটি স্পেশাল স্যুভেনির বের করছে হায়দরাবাদ ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ। শুধু স্যুভেনির বের করেই ক্ষ্যান্ত হচ্ছে না হায়দারাবাদ ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচটাকে স্মরনীয় করে রাখতে সেই স্যুভেনিরকে সাজানো হচ্ছে বিখ্যাত ক্রিকেটার এবং লেখকদের লেখা এবং নানান দুষ্প্রাপ্য তথ্য দিয়ে। হায়দারাবাদ রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে এ তথ্য।বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট উপলক্ষ্যে প্রকাশিতব্য স্যুভেনির সম্পাদনা, ডিজাইন এবং প্রকাশের দায়িত্বে রয়েছেন হায়দারাবাদ ক্রিকেট এসোসিয়েশনের (এইচসিএ) সাবেক সেক্রেটারি এবং ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার পিআর মানসিং। এই স্যুভেনির-এ লেখা থাকবে সাবেক ক্রিকেটার আব্বাস আলি বেগ, মহিন্দর অমরনাথ, ভিভিএস লক্ষ্মণ, এস ভেঙ্কাটারাগাভান, সৈয়দ কিরমানি, সাদ বিন জং এবং বিখ্যাত ক্রিকেট লেখক আর মোহন, হার্শা ভোগলে ও সুরেশ মেননের।এইচসিএর বিবৃতিতে জানানো হয় এই স্যুভেনির-এ থাকছে কিছু স্পেশাল কার্টুন, বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট সম্পর্কের নানা পরিসংখ্যান এবং তথ্য। মোট কথা, দারুণ তথ্য সমৃদ্ধ একটি প্রকাশনাই বের করতে যাচ্ছে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এইচসিএর বর্তমান কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে হায়দারাবাদের পুরনো সংস্কৃতিতে বাংলাদেশ-ভারত টেস্টের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করা হবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্টকে সামনে রেখে প্রকাশ করা হবে তথ্য সমৃদ্ধ একটি স্যুভেনির।’ সর্বপ্রথম যখন কোনো কমনওয়েলথ দল হায়দারাবাদ সফরে এসেছিল (১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে) তখন থেকেই স্যুভেনির প্রকাশ করে আসছিল এইচসিএ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিয়ে বলা হয়, ‘সেকুন্দারাবাদ জিমখানা গ্রাউন্ডে প্রথমবারেরমত কনমওয়েলথভুক্ত দেশটির (দেশটির নাম উল্লেখ করা হয়নি এইচসিএ’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে) বিপক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল ওই ম্যাচটি। তখন থেকেই একটি করে স্যুভেনির প্রকাশ করা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল এইচসিএর জন্য।’৯০ এর দশকের শুরুতেই সেই নিয়ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিবৃতিতেই সেটা বলা হয়েছে, ‘নব্বইয়ের দশকের শুরু পর্যন্ত এই নিয়ম মানা হতো। বিসিসিআই যখনই কোনো ম্যাচ অ্যালট করতো হায়দরাবাদে, তখনই স্যুভেনির প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হতো। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এবার আবারও আমরা সেই নিয়ম চালু করতে যাচ্ছি।’আইএইচএস/পিআর
Advertisement