বিশ্বের ‘সন্ত্রাসপ্রবণ’ কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে বিশ্বের সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষিদ্ধ হচ্ছে।দু-একদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন ভিসা নিষিদ্ধের তালিকায় রয়েছে-সিরিয়া, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, ইয়েমেন, সুদান ও সোমালিয়া। মার্কিন ভিসা নিষিদ্ধ হতে পারে এমন দেশের তালিকায় পাকিস্তানের নাম নেই। পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কোনো মন্তব্যও করেননি ট্রাম্প। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসী দেশ হিসেবেই পরিচিত। আর এ কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কড়া নজর রয়েছে দেশটির ওপর। পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ বৃহস্পতিবার এক সম্পাদকীয়তে বলেছে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইরাক এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় যে কোনো সময় মার্কিন ভিসা নিষিদ্ধ দেশের তালিকায় স্থান পেতে পারে পাকিস্তান। মুসলিম দেশগুলোর ওপর ট্রাম্প যে নিষেধাজ্ঞা আনছেন সেটা সত্যিই অমানবিক। কারণ এসব শরণার্থী বা অভিবাসী নিজ দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সংকট এবং উন্নত শিক্ষার সুযোগ পেতেই অন্য দেশে পাড়ি জমান। মুসলিম শরণার্থী ও অভিবাসীদের প্রতি ট্রাম্পের বিদ্বেষমূলক মনোভাব শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয় বরং পুরো বিশ্বেই উদ্বেগ আর ঘৃণা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে পাকিস্তানের অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়। যদি যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের নাগরিকদের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি না করে অর্থাৎ পাকিস্তানিরা যদি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারে তাহলে কি ঘটতে পারে?ওই সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়েছে, ট্রাম্প নিজের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছেন তাতে করে দেখা যাবে পাকিস্তানিরা মার্কিন মুল্লুকে প্রবেশ করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে তাদের কঠিন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে। এটা তাদের এমন মানসিক যন্ত্রণা দেবে যার মুখোমুখি তারা আগে কখনো হয়নি। আর এতো সব নাটক পার করে কোনো মতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারলেও তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবেই জীবন-যাপন করতে হবে। মার্কিন নির্বাচনে জয়ী হবার পর ট্রাম্প দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তান, চীন, ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক কিছুটা অস্পষ্ট। তাই পাকিস্তানকে কিছুটা শঙ্কার মধ্যেই থাকতে হচ্ছে। টিটিএন/জেআইএম
Advertisement