দুনীর্তির মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ডা. এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম ডলি, ছেলে মঈনুদ্দিন ইকবাল ও ইমরান ইকবাল ও মেয়ে নওরিন ইকবালের সাজা স্থগিতের হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম ডলি, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদেস্যর আপিল বিভাগের বেঞ্চ উভয় পক্ষের শুনানী শেষে এই আদেশ দেন। আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। অপরদিকে ড. ইকবালের পরিবারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এএফ হাসান আরিফ ও কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী।আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, দুদকের মামলায় ২০০৮ সালে এইচ বি এম ইকবাল, তার স্ত্রী মমতাজ বেগমসহ দুই ছেলে ও এক মেয়েকে সাজা দেন বিশেষ আদালত। এইচ বি এম ইকবাল নিম্ন আদালতে ২০১০ সালে আত্মসমর্পণ করেন এবং পরের বছর হাইকোর্ট তাকে খালাস দেন। তবে তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও মেয়ে কখনোই আদালতে আত্মসমর্পণ আত্নসমর্পন করেননি। হাইকোর্টে তাদের সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করার মেয়াদ শেষ হয় ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে। দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর তারা চুপচাপ থেকে নতুন করে নিম্ন আদালতের দেয়া আদেশের কার্যকারিতার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৮ অক্টোবর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের সাজা আরো ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ওই চারজনের সাজার ওপর সর্বশেষ স্থগিতাদেশ বাতিল চেয়ে গত ১৫ নভেম্বর আদালতে আবেদন করে দুদক। গত ১৬ নভেম্বর চেম্বার জজ আদালত ১৮ অক্টোবরের স্থগিতাদেশটি স্থগিত করেন।রোববার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ নিম্ন আদালতে দেয়া সাজার ওপর হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ তুলে নেন। ফলে এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম ডলি, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে আদালতে আত্মসমর্পণ করার জন্য বলা হয়েছে।খুরশিদ আলম জানান, আপিল বিভাগের আদেশের ফলে এখন তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারবে দুদুক। তিনি আরো জানান, আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ফোন করে জানিয়ে দিয়েছি আসামীদের গ্রেফতারে এখন আর কোনো বাধা নেই।উল্লেখ্য, অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের দায়ে ২০০৮ সালে এইচ বি এম ইকবালকে ১০ বছর এবং মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিলের কারণে আরো ৩ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে ৩ বছর করে কারাদণ্ড দেন এবং প্রত্যেককে করেন ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন ঢাকা বিশেষ জজ আদালত। এফএইচ/এনএফ/এনএইচ/এমএস
Advertisement