রাজধানীর বাড্ডায় গারো তরুণীকে ধর্ষণের ১৮ দিন পার হলেও ধর্ষক রুবেলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনায় সালাউদ্দিন নামে এক সহযোগী গ্রেফতার হলেও মূল হোতা রুবেল রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, প্রতারণাসহ কমপক্ষে ২০টি অভিযোগ রয়েছে বাড্ডার ত্রাস বলে পরিচিত রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে। শুধু বাড্ডা থানায় তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর রাতে উত্তর বাড্ডার পার্লার থেকে বাসায় ফিরছিলেন ওই তরুণী। পরে রুবেলসহ কয়েকজন মিলে তাকে জোর করে উত্তর বাড্ডার পুরাতন থানা রোডের ৬ নম্বর লেনের একটি বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। পরে শুক্রবার বাড্ডা থানায় নিজে বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে রুবেল, সালাউদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরো দুইজনকে আসামি করা হয়। টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার ওই তরুণী উত্তর বাড্ডার একটি বিউটি পার্লারে চাকরি করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের মে মাসে রাজধানীর কুড়িল বিশ্ব রোডে এক গারো তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়। সেই ঘটনার সুরাহা না হতেই বাড্ডায় আরেক গারো তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনা রাজধানীসহ সারাদেশে ও সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠে।র্যাব ১-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, রুবেল বাড্ডায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। গারো তরুণীকে ধর্ষণের আগে আরো দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ওই দুই তরুণী গার্মেন্ট কর্মী ছিলেন। তবে ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তিনি বলেন, ডাকাতি-ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের জন্য রুবেলের একটি বাহিনী রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধে জড়ালেও আইনের ফাঁকফোকর গলে বেরিয়ে এসেছে রুবেল। ধর্ষণের ঘটনায় ছায়া তদন্ত করছে র্যাব-১। তাকে শিগগিরই গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল জলিল জাগো নিউজকে বলেন, রুবেলের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় ৫-৬টি মামলা আছে। এলাকায় সে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। রুবেলকে গ্রেফতারে এরই মধ্যে একাধিক জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। তাকে গ্রেফতার করতে পারলে মূল রহস্য উদঘাটন হবে। জেইউ/জেএইচ/এমএস
Advertisement