আগে শুধু তরুণদের হাতেই রিস্টব্যান্ড দেখা যেত। এখন তরুণরা তো বটেই, তরুণীদের হাতেও শোভা পাচ্ছে বাহারি রিস্টব্যান্ড। যারা ঘড়ি পরেন তারাও রিস্টব্যান্ড পরছেন। আর যারা ঘড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, তাদেরও দুই হাতে শোভা পাচ্ছে চুড়ির মতো করে অনেকগুলো রিস্টব্যান্ড। রিস্টব্যান্ডের ধরন দেখে তরুণীদের পছন্দ-অপছন্দ কিংবা আগ্রহের ব্যাপারটাও বোঝা যায়। একই রিস্টব্যান্ড অনেক পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে পরা যায় বলে এর সুবিধাও অনেক। শার্ট, টি-শার্ট, স্যুট, ফতুয়া, টপ, কামিজসহ যেকোনো ধরনের পোশাকের সঙ্গেই পছন্দের রিস্টব্যান্ডটি পরা যায়। অনেকে একই সঙ্গে হাতে অনেক রিস্টব্যান্ড পরে থাকেন। ক্যাম্পাস, পার্টি কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গেলে অনায়াসেই হাতে পরে নেওয়া যায়। তবে রিস্টব্যান্ড পরতে হবে আপনার ব্যক্তিত্ব, রুচি, বয়স আর পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে।অনেক ব্যান্ড আছে, যেগুলো চামড়া বা সুতার তৈরি। কিন্তু রাবারের রঙিন রিস্টব্যান্ডই তরুণীদের বেশি পছন্দ । টম অ্যান্ড জেরির মতো পছন্দের কার্টুন চরিত্র, বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদের মতো বিদেশি বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবের লোগো বা ‘নো এক্সকিউজ’, ‘হু অ্যাম আই?’, ‘ডু অর ডাই’ ‘ইসপসিবল ইজ নাথিং’র মতো কোনো পছন্দের লাইন লেখা রিস্টব্যান্ডগুলো তুলে ধরে ব্যক্তিত্বের ছাপও। রিস্টব্যান্ড নানা রকমের হয়ে থাকে। সাদা, লাল, গোলাপি, কালো, হলুদ, সবুজসহ প্রায় সব রঙের রিস্টব্যান্ড বাজারে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে সিলিকন রিস্টব্যান্ডের ব্যবহারই বেশি চোখে পড়ে। স্পোর্টস রিস্টব্যান্ডগুলো সাধারণত টেরি ক্লথের তৈরি। খেলাধুলার সময় কপালে বেয়ে পড়া ঘাম মুছতেই হাতে এ ধরনের রিস্টব্যান্ড পরা হয়ে থাকে। মাশরাফি-সাকিব কিংবা এম এস ধোনি, মাইকেল জ্যাকসনসহ প্রিয় তারকার নাম লেখা রিস্টব্যান্ডও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে।ঢাকায় বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, গাউসিয়া, চাঁদনী চক, নিউ মার্কেট, বনানীর রিস্টব্যান্ড হাউস, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউ মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট, চট্টগ্রামের সানমার সিটি, নিউ মার্কেটেও পেয়ে যাবেন পছন্দের রিস্টব্যান্ড। দাম পড়বে প্রতিটি ২০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। এইচএন/এমএস
Advertisement