আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারাই দলের প্রাণ। কত মানুষ আঘাত পেয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন, দল করতে গিয়ে ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাদের অবদান অনেক। শনিবার আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, পঁচাত্তরে পরিবারের ১৮ সদস্যকে হারিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুকে ৩ বছর না পেরোতেই হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে যারা বাঁচাতে এসেছিলেন তাদেরও হত্যা করা হয়। আজ আমার এ বেঁচে থাকা অনেক কষ্টের, অনেক দুঃখের। বাংলাদেশের মাটি, এই ভূখণ্ড সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বা প্রতিবেশী কোনো দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য ব্যবহার করতে দেয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে চাই। আমার দলের নেতাকর্মী, ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য পর্যন্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি আমার আহ্বান, আমরা বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুদ্রামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আপনারা স্ব স্ব এলাকায় দরিদ্র ও নিঃস্ব-গৃহহারা মানুষের তালিকা বানান। আমরা প্রয়োজনে বিনা পয়সায় ঘর তৈরি করে দেব। তারা যেন বেঁচে থাকতে পারেন তার ব্যবস্থা আমরা করবো। জনগণের কল্যাণ করাই আমাদের কর্তব্য।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। জনগণের সেবা করা আমাদের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দারিদ্র্য বলে কিছু থাকবে না। এটাই এখন আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ ও অঙ্গিকার। আমরা যদি সঠিকভাবে এই অঙ্গিকার পালন করতে পারি তবে সত্যিকার অর্থে দারিদ্র্য থাকবে না।শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দারিদ্র্যের হার ৯৭ শতাংশ থেকে ২২.৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্রের হার আজকে ১২ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছি। মাথাপিছু আয় আরো বৃদ্ধি করবোপ্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালে আমরা কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই, সেই বাংলাদেশ কেমন হবে। আমাদের প্রবৃদ্ধি এখন ৭ ভাগে এসেছে। সে হার বাড়িয়ে আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৮ থেকে ১০ ভাগ। প্রত্যেকের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৭৬৬ মার্কিন ডলার, এই আয় আরও বৃদ্ধি করবো। এমনভাবে বৃদ্ধি কররো যাতে মানুষ আর দরিদ্র না হয়।’শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দেন- ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, ক্ষুধামুক্ত সমাজ আমরা গঠন করবো। প্রতিটি মানুষ হবে সুশিক্ষায় শিক্ষিত। তথ্য-প্রযুক্তি থেকে শুরু করে কারিগরিসহ সব ধরনের শিক্ষা, পুষ্টিকর জীবন বৃদ্ধির জন্য সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এজন্য সকল আমন্ত্রিত কাউন্সিলর, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, জেলা উপজেলা, ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য পর্যন্ত সকল নির্বাচিত প্রতিনিধি, দলের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানান, আপনারা স্ব স্ব এলাকায় কতজন দারিদ্র মানুষ আছে, নিঃস্ব-রিক্ত আছেন তাদের তালিকা বানান। জেইউ/এফএইচ/এনএফ/এমএস
Advertisement