বিশেষ প্রতিবেদন

পঙ্গু হাসপাতালে বাবা-মেয়ের অসহায়ত্ব

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার এলাকার আব্দুল গফুর নামে অসহায় এক ব্যক্তি তার অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন।গতকাল বুধবার মেয়ে মিমমা খাতুনের পায়ের ট্রাকশন দেয়ার পর চিকিৎসক আব্দুল গফুরকে বলেছেন মেয়ের অপারেশনের জন্য এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা করতে। বিশাল অঙ্কের টাকার কথা শুনে রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছেন আব্দুল গফুর। সারাদিন টাকার চিন্তা করে কোনো কূলকিনারা না পেয়ে সন্ধ্যায় অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যেতে চাইলে আশপাশের রোগী ও নার্সদের সহযোগিতার আশ্বাসে থেমে যান তিনি। তবুও টাকার চিন্তা পিছু ছাড়ছে না তাকে।আব্দুল গফুরের ১৬ বছর বয়সী মেয়ে মিমমা বর্তমানে হাসপাতালের চতুর্থ তলার মহিলা ওয়ার্ডের ১২নং বেডে ডা. ওয়াহিদুর রহমান ও ডা. দিপুর তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।আব্দুল গফুরের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের একটি মসজিদে ইমামতি করেন। ছয় সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে মিমমা।গতকালের ঘটনা জেনে বৃহস্পতিবার জাগো নিউজের এই প্রতিবেদক পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় একটি ফ্রি বেডের ব্যবস্থা করেন, যা আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে।আব্দুল গফুর জানান, ছোটবেলায় মেয়ের জ্বর থেকে খিঁচুনি হয়। এরপর থেকেই তার বাম পা খাটো হয়ে যায়। সেটির চিকিৎসা করতেই হাসপাতালে এনেছি মেয়েকে। তিনি জানান, বাড়ি থেকে সামান্য যে টাকা-পয়সা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলাম, সেই টাকা ইতোমধ্যে বেড ভাড়ায় শেষ হয়ে গেছে। টাকার অভাবে গতকাল থেকে মেয়ের ওষুধ কিনতে পারছি না। তাছাড়া বাড়িতেও বিক্রি করার মতো কোনো সহায়-সম্বল নেই। এখন হয়তো টাকার অভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারবো না। তিনি আরো জানান, এজন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হলেও মোট খরচ হবে আড়াই লাখ টাকা।মেয়েকে সুস্থ করার মতো সাধ্য আমার নেই। কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি সহযোগিতা না করলে হয়তো মেয়েকে সুস্থ করতে পারবো না।হাসপাতালের উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহাব বলেন, আমরা সামর্থ্যমতো চেষ্টা করবো সহযোগিতা করার। তবে কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি যদি এই মানুষটিকে সহযোগিতা করে হয়তো মেয়েটি সুস্থ হয়ে যাবে।মিমমাকে সহযোগিতা পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায় : আইবুল আলম, সোনালী ব্যাংক, কামারখন্দ শাখা, সঞ্চয়ী হিসাব নং ৩৪০-৭৭-৬১৯। এছাড়া হাসপাতালে গিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন। মো. আব্দুল গফুর, মোবাইল : ০১৫৫৬-২৮৬৫৬০।এমএএস/এসএইচএস/পিআর

Advertisement