মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চুরি, ঘুষ ও অর্থ পাচারের মতো কেলেঙ্কারির চিত্রও তুলে এনেছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী ইউনিটের সদস্যরা। প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের বিরুদ্ধে নগদ ১০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইয়ামিনের হাতে ব্যাগভর্তি নগদ অর্থ তুলে দিয়েছেন এমন এক ব্যক্তি আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে নতুন এ তথ্যে। মালদ্বীপ সরকারের ভয়াবহ এই দুর্নীতির চিত্র দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আদিবের তিনটি স্মার্টফোনে রেকর্ড রয়েছে। এ ছাড়া আরো অনেক বিশ্বাসযোগ্য নথিও পাওয়া গেছে। ভয়াবহ দুর্নীতির এই চিত্র গোপনে ধারণ করা হয়েছে স্মার্টফোনে। এতে অন্তত তিন কর্মকর্তার কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য রয়েছে। এসব অর্থ প্রেসিডেন্ট ও তার সহযোগীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আল জাজিরার অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রেসিডেন্টের মন্ত্রী ও সহযোগীরা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার তিন ব্যবসায়ীর সহায়তায় দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে দেড়শ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ পাচারের পরিকল্পনা হাতে নেয়। তারা মালদ্বীপ আর্থিক কর্তৃপক্ষকে (এমএমএ) ব্যবহার করে একসঙ্গে একশো মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।পরিকল্পনায় জড়িত এক ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলজাজিরার অনুসন্ধানী ইউনিটের এক প্রতিবেদক। মালয়েশিয়ার ওই ব্যবসায়ী জানান, তার সঙ্গে একজন প্রভাবশালী রাজনীতিককে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়; যিনি ওই অর্থ লেনদেন করতে চেয়েছিলেন অত্যন্ত গোপনে। তবে পরে ওই ব্যবসায়ী মালদ্বীপের অর্থ পাচার পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, আলজাজিরার সাংবাদিক তার কাছে থেকে নেয়া তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। তবে গোপনে ধারণ করা অর্থ লেনদেনের একটি ভিডিও রয়েছে আলজাজিরার হাতে। এতে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তিরা ব্যাগে ভরে নগদ অর্থ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট, ফার্স্ট লেডি, জ্যেষ্ঠ বিচারক ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এসআইএস/এমএস
Advertisement