গ্র্যাচুইটি তহবিলের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র ক্রয়/বিনিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ায় তাতে লাগাম টানতে টানতে এ সিন্ধান্ত নিযেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়, গ্র্যাচুইটি (ফান্ড) তহবিলের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র ক্রয় বা বিনিয়োগের সুযোগ নেই।জানা গেছে, সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও এতদিন গ্র্যাচুইটি তহবিলের অর্থ দিয়ে সরকারি-বেসরকারি চাকুরেরা সঞ্চয়পত্র কিনতো। কিন্তু এখন থেকে কেউ যেন এ তহবিলের অর্থ দিনে না কিনে তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা। নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সঞ্চয়পত্রে ঝুঁকছেন মানুষ। সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় ঋণের পাল্লাও ভারি হচ্ছে ফলে বিপাকে পড়েছে সরকার। আর সঞ্চয়পত্রে বিক্রি কমাতে সুদের হার কমিয়েও লাভ হয়নি। তাই গ্রাচুইটি তহবিলের অর্থ সঞ্চয়পত্র খাতে বিনিয়োগে বন্ধ করে লাগাম টানতে চাইছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্র বিধিমালা, ১৯৭৭ (সংশোধিত ২০০২) এর বিধি ৫ এর উপবিধি (৫) অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানের ‘গ্র্যাচুইটি ফান্ড’ অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুযোগ নেই এবং অতীতেও ওই ফান্ডের অর্থ সঞ্চয়পত্র খাতে বিনিয়োগের সুযোগ ছিল না।বর্ণিত বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারিসহ সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানের গ্র্যাচুইটি ফান্ডের অর্থ দ্বারা সঞ্চয়পত্র ক্রয়/বিনিয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই।এদিকে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ১১ মাসে অর্থাৎ জুলাই-মে সময়ে ৩০ হাজার ৯২ কোটি ৭৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। বিক্রি বাড়ায় ২০১৫ সালের ২৩ মে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার গড়ে ২ শতাংশ করে কমায় সরকার। উল্লেখ্য, সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই গ্র্যাচুইটির ব্যবস্থা থাকে। চাকরিজীবনের ২৫ বছর পার করার পর অবসরে যাওয়ার সময় বেতনের ৮০% গ্র্যাচুইটি হিসেবে দেয়া হয়।এসআই/এসএইচএস/এবিএস
Advertisement