নৌ-দুর্ঘটনা রোধে সারাদেশে ফিটনেসবিহীন নৌযানের সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য নৌ-শুমারি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। কোনো নৌযান স্থায়ীভাবে চলাচলের অযোগ্য ঘোষণার কোনো তালিকা এখন পর্যন্ত সরকারের হাতে না থাকায় সরকার এই প্রকল্প কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মহিলা আসন-২৩ এর পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সংসদে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কোনো নৌযানে ক্রুটি পাওয়া গেলে সেটাকে ক্রুটি মেরামতের পূর্ব পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেয়া হয় না। তবে চিহ্নিত ক্রুটি মেরামতের পর পুনরায় সার্বের মাধ্যমে সন্তোষজনক বিবেচিত হলে সেটাকে পুনরায় চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়।মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৯২৩টি যাত্রীবাহীসহ মোট ১০ হাজার ২৯৬টি নৌযান চলাচল করছে। এর মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র সময়সূচি অনুযায়ী নিয়মিত ৬৯৫টি যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করছে।নৌপথে ফিটনেসবিহীন নৌযান চলাচল আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ বলে উল্লেখ করে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের নৌযানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬-এর বিধান অনুযায়ী নৌ-আদালতে মামলা দায়ের করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।লোকবল বৃদ্ধির মাধ্যমে নৌযানের ফিটনেস মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার কার্যক্রমও গ্রহণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল ধরনের নৌযানে আধুনিক সেফটি ইকুইডমেন্ট স্থাপনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকলল্পনার কথাও জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মো. এনামুল রহমানের প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নৌপথের দৈর্ঘ্য বর্ষাকালে ২৪ হাজার কিলোমিটার। তা শুস্ক মৌসুমে ৬ হাজার কিলোমিটার কমে আসে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে ১০ হাজার ২৯৬ বিভিন্ন ধরনের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত নৌযান চলাচল করছে।ঢাকা-১ আসনের সালমা ইসলামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার হারিয়ে যাওয়া নৌ-পথকে পুনরুজ্জীবিত জনপ্রিয় করার জন্য বিশ্বব্যাংক-এর তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ আঞ্চলিক নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১’ গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের অনুকূলে বিশ্বব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করেছে। দ্রুত আগামী যে কোনো সময়ের মধ্যে ঋণচুক্তি সই করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।এইচএস/একে/এবিএস
Advertisement