কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। নোটবই এবং কোচিং সেন্টারের কারণে শিক্ষার্থীরা ছাত্রত্ব থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এসব কোচিং সেন্টার বন্ধের ব্যাপারে অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে সরকারের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করা হবে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এসব কোচিং সেন্টার বন্ধ করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।সোমবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে বিপদগামীতা থেকে রক্ষা করতে অভিভাবকদের সচেতন করে তুলতে হবে। এ জন্য প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিভাবক সমাবেশ করতে হবে। সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত সভায় চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা, সাংবাদিক নেতারা, মুক্তিযোদ্ধা, মসজিদের ঈমাম, বিভিন্ন উপজেলার ইউএনও`রা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে বাঙ্গালি জাতি একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং এগিয়ে যাওয়া দেখে পশ্চিমা গোষ্ঠির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা এ দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে এক শ্রেণির বিপদগামী শিক্ষার্থীদের বেছে নিচ্ছে। মতবিনিময় সভায় সব বক্তা ঐক্যমতে পৌঁছেন যে, বর্তমান সময়ে বেসরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যপুস্তকের সিলেবাসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত কোন বিষয় অন্তর্ভূক্ত নেই। ফলে এসব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ, দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানে না বলেই এ ধরনের ধংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। বক্তারা দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সিলেবাস থেকে শুরু করে সবকিছু সরকারি যথাযথ নজরদারির আওতায় আনার অনুরোধ জানান। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে তথাকথিত কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধের আহবান জানান। জীবন মুছা/জেএইচ/এবিএস
Advertisement