বিশেষ প্রতিবেদন

৩ মাসে ৬০ হাজার বাংলাদেশির ওমরাহ পালন

চলতি বছর সৌদি আরবে প্রায় ৬০ হাজার ধর্মপ্রাণ বাংলাদেশি মুসলিম ওমরাহ হজ করেছেন। আর মাত্র ৪ দিন পর অর্থাৎ ১৫ রমজান থেকে চলতি বছরের জন্য ওমরাহ ভিসা প্রদান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শেষ মুহূর্তেও অনেক বাংলাদেশি ওমরাহ হজ করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন। মার্চ মাস থেকে মোট ৬২টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশিরা হজে গিয়েছেন বলে জানা গেছে। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি ইব্রাহিম বাহার আজ জাগো নিউজকে বলেন, বেশ কয়েকমাস বন্ধ থাকার পর মার্চ মাস থেকে ফের বাংলাদেশি ওমরাহ হজ যাত্রীদের ভিসা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময়ে বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাস ৬০ হাজারেরও বেশি ওমরাহ ভিসা ইস্যু করা হয় বলে তিনি জানান।ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হাব নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, গত বছর ওমরাহ হজের নামে আদম পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশ কালো তালিকাভুক্ত হওয়া ও ভিসা প্রদান বন্ধ রাখার ঘটনা ঘটলেও এবার তেমনটা হবে না। তারা বলেন, এবার একটি প্যাকেজের আওতায় (শুধুমাত্র খাবারদাবার ) ছাড়া ওমরাহ হজে যাওয়ার নিয়ম চালু হওয়ায় সুন্দরভাবে ওমরাহ সম্পন্ন শেষে হাজিরা ফিরে আসছেন। রাজধানীর লালবাগের ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান সম্প্রতি স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে ওমরাহ করে এসেছেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এজেন্সির লোকজন হজে নেয়ার আগে যাতায়াত ও হোটেলে রাখাসহ সুষ্ঠুভাবে হজ পালন করার সুযোগ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তারা সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের হজ মৌসুমে বাংলাদেশের ৬৭টি হজ এজেন্সির কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। ওই বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৪০-৫০ হাজার হাজি ওমরা পালন করতে যায়। তাদের ১৪ থেকে ২৮ দিন মেয়াদের ভিসা ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে সহস্রাধিক হাজি ওমরাহ পালন শেষে দেশে না ফিরে অবৈধভাবে সৌদি আরবে থেকে যান। পরবর্তীতে ওমরাহ ভিসা বন্ধ করে দেয়া হয়। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে আবার ওমরাহ ভিসা চালু হয়। এমইউ/এআরএস/পিআর

Advertisement