পাখি, কটকটি, ঝিলিক এমন অনেক ভারতীয় নাটকের চরিত্রের নাম রেখে এর আগের ঈদবাজারে বিক্রি হয়েছে মেয়েদের কাপড়। অনেকে এসব ড্রেসের জন্য আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছে। কিন্তু এবার ভিন্ন। নেই কোনো হাক ডাক। নেই ভারতীয় কোনো নাটকের চরিত্রের ড্রেস। তারপরেও জমে উঠেছে ঈদ বাজর।ঈদ-উল-ফিতরের আর মাত্র ১৯/২০ দিন বাকি আছে। এরই মধ্যে জমে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের ঈদ বাজার। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অর্ধ শতাধিক মার্কেটের সবগুলোই ক্রেতায় পরিপূর্ণ। বিক্রেতাদের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। আর এসব ভারতীয় নামধারী কাপড় না থাকায় খুশি ব্যবসায়িরাও। তারা মনে করছেন নামধারী এসব ড্রেসের কারণে এর আগের বছরগুলোতে ব্যবসা করতে পারেননি তারা। শুধু নামধারী সেই ড্রেসগুলো ছাড়া আর অন্য কোনো ড্রেস বিক্রি হয়নি। তাই এবার নব মেয়েদের কাপড়গুলো ভালোই বিক্রয় হচ্ছে। সরেজমিনে ঠাকুরগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, এবারের ঈদ বাজার ইতোমধ্যে পুরোপুরি জমে উঠেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়েছে। এর আগে অতিবৃষ্টিতে বিক্রিতে কিছুটা ভাটা পড়েছিলো। মূলত, ঠাকুরগাঁওয়ের মার্কেটগুলোতে দুই ধাপে বিক্রি হয়। দিনের প্রায় পুরো সময়টা দূরের ক্রেতারা বাজার দখল করে রাখে। স্থানীয়রা কিংবা দূরের যারা বাজারের আশপাশে ভাড়া থাকেন এ জাতীয় ক্রেতারা মার্কেটে আসেন সন্ধ্যার পরে। যার কারণে ঠাকুরগাঁও বাজারে দিনে ও রাতে সমানতালে বিক্রি হয় মার্কেটগুলোতে। এ ভিড় সাধারণত কাপড় ও গার্মেন্ট দোকানগুলোতেই বেশি পড়ে।ঠাকুরগাঁও চৌরাস্তায় কাপরের দোকান "ঘোমটা"র বিক্রেতা জনি জানান, এরআগে স্টার জলসার বিভিন্ন নাটকের নায়িকাদের নাম করে কাপর বিক্রয় হতো। এতে এক দুইটা মডেল ছাড়া বাকি আর কিছুই বিক্রি হতো না। তাই এবার কোনো মেয়েদের কাপরের নাম দেওয়া হয়নি। এবার সব লং থ্রি পিচ বলে বিক্রয় করা হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও গণেশ বস্ত্রালয়ের মালিক উৎপল জানান, এখনো ঈদের ২০ দিন বাকি আছে। কিন্তু বাজারে অনেক ভিড়। কাটা কাপড় এখন বেশি বিক্রয় হচ্ছে। কাপড় সেলাইয়ের জন্য এখন মেয়েরা বেশি থ্রি পিচ কিনছে। পরে আবার টেইলার কাপড় সেলাই করবে না বলেই এই চাপ। বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তার কথা মাখায় রেখে ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম পুরো বাজারে দিনরাত দায়িত্ব পালন করছে বলে জানান ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান। তিনি আরো জানান, পুলিশ এবারে ঠাকুরগাঁও বাজারে তিনভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে নারী পুলিশের টিম, সিভিল পুলিশের টিম এবং ইউনিফর্ম টিম সমান তালে কাজ করছে।এফএ/এবিএস
Advertisement