গৃহপালিত পাখির মধ্যে কবুতর সবচেয়ে জনপ্রিয়। প্রাচীনকালে কবুতর পালন করা হতো চিঠি আদান-প্রদানের জন্য। পৃথিবীজুড়ে কবুতরকে বলা হয় ‘শান্তির দূত’। তবে কবুতর পালনে অতিরিক্ত কোনো খরচ হয় না। সহজেই পোষ মানানো যায়। এ কারণে অনেক বাড়িতেই কবুতর পালন করা হয়।
Advertisement
কবুতরের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু এবং বলকারক। ফলে বাণিজ্যিক ভাবে কবুতর পালন করে কম সময়ে লাভ করা যায়। কবুতর সাধারণ ভাবে জোড়া বেঁধে বাস করে। প্রতি জোড়ায় একটি পুরুষ এবং একটি স্ত্রী কবুতর থাকে। এরা ১২-১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। যতদিন বেঁচে থাকে; ততদিন ডিমের মাধ্যমে বাচ্চা দিয়ে থাকে। ডিম পাড়ার পর স্ত্রী-পুরুষ পর্যায়ক্রমে ডিমে তা দিয়ে থাকে।
কবুতরের জোড়া হঠাৎ ভেঙে গেলে কিছুটা বেগ পেতে হয়। নতুন জোড়া তৈরি করতে স্ত্রী-পুরুষ কবুতরকে একঘরে কিছুদিন রাখতে হয়। তবে কবুতর পালনে অসুবিধার চেয়ে সুবিধাই বেশি।
কবুতর পালনের সুবিধাসমূহ>> একটি ভালো জাতের কবুতর বছরে ১২ জোড়া ডিম দিয়ে থাকে। ডিমগুলোর প্রায় প্রতিটি থেকেই বাচ্চা হয়। বাচ্চা পরের ৪ সপ্তাহের মধ্যে খাওয়া বা বিক্রির উপযোগী হয়।
Advertisement
>> গৃহপালিত অন্যান্য পাখির মধ্যে কবুতরকে পোষ মানানো বা লালন করা যায়।
আরও পড়ুনমুরগির খামারে মোশারেফের মাসে আয় লাখ টাকাহাঁস পালনে নারীদের রোল মডেল খোকসার শিরিনা>> খুবই কম জায়গায় লালন-পালন করা যায়। এমনকি ঝোলানো ঝুড়িতেও পালন করা সম্ভব। তাই কবুতর পোষায় খরচের পরিমাণ একেবারেই কম।
>> বেশিরভাগ কবুতর নিজেই খাবার খুঁজে নেয়। এ কারণে খাবারের জন্য বাড়তি যত্ন বা খরচ খুব একটা হয় না।
>> থাকার জায়গার জন্য বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আঙিনা বা ছাদের ওপর কাঠের ঘর তৈরি করে পালন করা যায়। ঝুড়িতে করেও পালন করা যায়।
Advertisement
>> কবুতর ডিম দেওয়ার উপযোগী হতে ৫-৬ মাস সময় লাগে। সাধারণত কবুতরের বাচ্চা রোগীর পথ্য হিসেবেও অনেকে বেছে নেন।
>> ডিম থেকে মাত্র ১৮ দিনেই সাধারণ নিয়মে বাচ্চা ফুটে থাকে। বংশ পরম্পরায় প্রাকৃতিক নিয়মে নিজেরাই বাড়াতে থাকে নিজেদের সংখ্যা।
>> মুরগির মাংসের বিকল্প হিসেবে কিংবা পরিযায়ী পাখির বিকল্প হিসেবে অনেকেই কবুতরের মাংস বেছে নিয়ে থাকেন।
এসইউ/জেআইএম