কোলা ব্যাঙের বিয়েবিলকিস নাহার মিতু
Advertisement
কোলা ব্যাঙের বিয়ে হবেদিচ্ছে টোপর মাথায়,গেট সাজাচ্ছে সবাই মিলেঝালর বেঁধে ছাতায়।
পোকামাকড় রান্না করতেব্যস্ত ব্যাঙের দল,বিয়ে খেতে হাজির হলোখেঁকশিয়ালের দল।
টুকটুকে লাল শাড়ি দিয়েসাজছে ব্যাঙের পাত্রী, বউকে নিতে হাজির হলোকোলা ব্যাঙের যাত্রী।
Advertisement
****
ব্যাঙ মামার বিয়েশাহনাজ শিউলী
ব্যাঙ মামা আজ বর সেজেছেতার নাকি বিয়ে,ঘর বেঁধেছে কলমিলতারশ্যাওলা পাতা দিয়ে।
কুনো, সোনা নাচছে আজিগাইছে চারিপাশে,পাটের পাতার রুমাল দিয়েমুখ ঢেকে সে হাসে।
Advertisement
লাল চীনা ব্যাঙ বৈঠা নিয়েবাইছে উজান তরী, বামন, পানার গান শুনে সবহেসেই গড়াগড়ি।
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর বাজনা বাজায়কটকটি আর পাতা,ঝিঁঝি, কোলা ধরছে মামারমাথার ওপর ছাতা।
নদীর পাড়ে ব্যাঙ্গার বাড়িযায় শোনা শোরগোল, মশা, মাছি, ছারপোকা আররাঁধছে কেঁচোর ঝোল।
****
অশ্রুসম বর্ষারবিন ইসলাম
আকাশ আজ নিজেকে খুলে দিয়েছে এক দুর্বার স্বীকারোক্তিতে—প্রতিটি ফোঁটা যেন কোনো না বলা চিঠির স্তব্ধতা।তীব্র নির্জনতায় ভিজে যায় পাতার শিরা,যেন আত্মার ভেতরে জেগে ওঠে দীর্ঘ অনাহূত সংলাপ।
পথঘাট নিঃশব্দ, শুধু বৃষ্টির জল গড়িয়ে যায় শূন্যতায়—সেই শূন্যতা কোনো এক প্রাক্তনের শ্বাস,যার ধ্বনি থেমে গেছে, অথচ উপস্থিতি অপার।
এই বর্ষা শোনায় না কোলাহল,সে শোনায় বিস্মৃতির নূপুরধ্বনি,চেতনার অলিন্দে জেগে থাকা এক মৌন কুসুম,যা ফোটে না, ঝরে না—শুধু বাঁচে অভিমানী মেঘের গর্ভে।
নদীর পাড়ে বসে মন আজ আর কিছু চায় না—শুধু জেনে যেতে চায়—কে প্রথম বৃষ্টিকে ভালোবেসেছিল?আর কে তাকে ভুলে থেকেও বুকে ধারণ করেছে আজীবন?
****
সেই বিকেল বেলা নাজমুস সায়েম
বেরিয়েছিলাম বৃষ্টির সাথে কথা বলবো বলে—তাকে জড়িয়ে নেবো বলে গায়ে, মেঘ কালো করা বৃষ্টি; যে বৃষ্টি ছড়িয়ে দেয় শীতলতা এ ধরাতে।বৃষ্টি এলো না, তবে তুমি এলেদেখালে শহর, এগোলো প্রহর—ক্লান্ত বিকেলের আগমন মেঘলা আকাশের সাথে স্নিগ্ধ বিকেলেরকী অমলিন সন্ধি। রেলগাড়ির বিদায়ী ধ্বনির সাথেমৃদু বাতাস এসে আছড়ে পড়লো গায়েসাথে চুমুক রঙিন চায়ে—বাদামকে চিবুকের সঙ্গী করে আবার পথচলাঘনিয়ে আসা সন্ধ্যার সাথে একাত্মতায়দুজনের বিদায় বলা; আহ! কী সুন্দর সেই বিকেলবেলা!
এসইউ/এমএস