চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জঙ্গি বিরোধী অভিযান ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ মামলায় পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন চৌধুরী তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
একইদিন সকালে নোয়াখালী কারাগার থেকে আসাদুজ্জামানকে শিবগঞ্জ আমলি আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শাকিল আহম্মেদ আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। বিকেল ৩টায় রিমান্ড শুনানি শেষে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আসাদুজ্জামান সবশেষে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ছিলেন।
Advertisement
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওদুদ জানান, ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল গভীর রাতে পুলিশ, র্যাব, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও সোয়াট টিমের যৌথ বাহিনী শিবগঞ্জের ত্রিমোহনী এলাকার মসলা ব্যবসায়ী আবুর বাড়ি ঘেরাও করে গোলাগুলি করে। জঙ্গি নাটকের ঘটনা সৃষ্টি করে আবুল কালাম নামের একজনকে হত্যা করে। পরে হেলিকপ্টারে আরও তিনটি বস্তাবন্দি মরদেহ বের করে ওই বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় তাদের পেটের মধ্যে বোমা বেঁধে রেখে রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা বিস্ফোরক ঘটানো হয়। ঘটনার সাতবছর পর ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহত আবুর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন। সে মামলায় এসপি মো. আসাদুজ্জামানকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, জঙ্গি মামলায় কোনোভাবে (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান জড়িত নন। তাকে অহেতুক এ মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
সোহান মাহমুদ/আরএইচ/জিকেএস
Advertisement