ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার (২৯ মে) সকালে নিজস্ব সামাজিকমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে তিনি লেখেন, গাজায় চুক্তি করুন। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনুন।
Advertisement
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তির বিষয়ে আলোচনার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই চুক্তিতে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এদিকে ইরানে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার পর নিজের দেশে নেতানিয়াহুকে নিয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। গত মার্চে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এমন একটি যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন যেটি সুফল বয়ে আনছিল। তার এই সিদ্ধান্তকে ওই সময় ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ বলে বর্ণনা করেছিলেন কোনো কোনো বিশ্লেষক। এটি ছিল গাজা যুদ্ধবিরতি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার আগেই তার দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যস্থতায় গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্ভব হয় ও হামাসের বন্দিদশা থেকে কয়েক ডজন জিম্মি মুক্তি পায়, যার বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকেও মুক্তি দেওয়া হয়।
Advertisement
পরবর্তী পর্যায়ে আরও জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তির আগে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করার কথা ছিল। সংঘাতে ক্লান্ত ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের সমাপ্তির কথা ভাবছিল। কিন্তু যুদ্ধ শেষ করতে চাননি নেতানিয়াহু।
অনেক ইসরায়েলি বিশেষ করে জিম্মিদের পরিবারগুলো এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে, তিনি তাদের স্বজনদের (যারা জিম্মি আছে) নিরাপত্তা এবং জাতির বৃহত্তর কল্যাণের চেয়ে নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
জরিপে দেখা গেছে, বিবি হিসেবে পরিচিত নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে এবং তিনি অতি-ডানপন্থি এবং গোঁড়া ধর্মীয় দলগুলোর কট্টর মন্ত্রীদের মাধ্যমে পরিচালিত একটি বিচ্ছিন্ন সরকারকে একত্রিত করতে লড়াই করছেন।
সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি
Advertisement
এসএএইচ