দেশজুড়ে

কমপ্লিট শাটডাউনে স্থবির ভোমরা বন্দরের আমদানি-রপ্তানি

কমপ্লিট শাটডাউনে স্থবির ভোমরা বন্দরের আমদানি-রপ্তানি

সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরে কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। রোববার (২৯ জুন) বন্দরে শুল্ক কর্মকর্তাদের বিরতির বন্ধ রয়েছে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম। এ অচলাবস্থার ফলে ভোমরা বন্দরে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।

Advertisement

ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, আগে থেকে আমাদের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ সীমিত। তার ওপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অফিস বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছি। শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ট্রাক প্রতি ডেমারেজ দিতে হচ্ছে প্রতিদিন। পুরো বন্দরের কার্যক্রম থমকে গেছে।

ভোমরা বন্দরে পণ্য নিয়ে আটকে থাকা বাংলাদেশের ট্রাকচালক আবদুল খালেক বলেন, দুদিন ধরে ট্রাকে বসে আছি। টয়লেট-খাবারের ভোগান্তি চরমে। কখন ছাড়বে, তাও জানি না।

জসিম উদ্দিন নামে আরেকজন জানান, বছরের এ সময়ে বেশি রপ্তানি হয়ে থাকে। বন্দর বন্ধ থাকায় পচনশীল পণ্যও নষ্ট হচ্ছে। এতে আমাদের লোকসান গুণতে হবে।

Advertisement

ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিলন বলেন, অফিস বন্ধ থাকায় আমদানি-রপ্তানির সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে শুধু ব্যবসায়ী বা ট্রাক মালিকরাই না, আমাদের মতো সিএন্ডএফ কর্মচারীরাও চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছি।

ভোমরা বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বন্দর বন্ধ থাকায় শত শত শ্রমিক এখন কাজ ছাড়া বসে আছে। দিনমজুর হিসেবে কাজ করি, কাজ না থাকলে পেট চালানোই দায় হয়ে পড়ে।

শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ জিয়া বলেন, একটা গাড়ি লোড বা আনলোড করে আমরা ৩০০-৫০০ টাকা পাই। এখন দুদিন ধরে কোনো ট্রাকই ঢুকছে না বন্দরে। আমরা মাঠে দাঁড়িয়ে শুধু গাড়ির অপেক্ষা করছি। আমাদের তো কোনো বেতন নেই, কাজ না করলে টাকা নেই।

ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রাসেল জাগো নিউজকে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। ঢাকা থেকে সিদ্ধান্ত এলে কার্যক্রম শুরু করবেন তারা।

Advertisement

ভোমরা বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩০০–৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। এ বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আদায়ও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

আহসানুর রহমান রাজীব/আরএইচ/জেআইএম