ফিচার

আশানুরূপ ফলাফল না হলে অভিভাবকরা কী করবেন?

আশানুরূপ ফলাফল না হলে অভিভাবকরা কী করবেন?

উম্মে সালমা

Advertisement

চলতি মাসেই প্রকাশিত হবে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল। কেউ সবাইকে চমকে দিয়ে দুর্দান্ত ফলাফল করবেন। আবার কারও ফলাফল ততটা আশানুরূপ হবে না। এমনই হয় প্রতি বছর। সন্তানের পরীক্ষার ফল আশানুরূপ না হলে বাবা-মায়েদের হতাশ হওয়া স্বাভাবিক। তবে তাদের থেকেও বেশি হতাশ হন ফলপ্রত্যাশীরা। ফলে অভিভাবকদের একটু ভুলের কারণে ভুল পদক্ষেপ নিতে পারে সন্তান। তাই অভিভাবকদের করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন—

সহানুভূতি দেখান

এ সময়ে সন্তানের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বাবা-মায়ের সহানুভূতি ও মানসিক সমর্থন। পরীক্ষার ফল খারাপ হলে সন্তানের মানসিক অবস্থা বিপর্যস্ত থাকতে পারে। তারা ভুল পদক্ষেপ নিতে পারেন। এ সময়ে তাদের বকাবকি না করে পাশে দাঁড়ান। তাদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন এবং সহানুভূতি দেখান।

খোলামেলা আলোচনা

মাথা গরম না করে সন্তানের সঙ্গে শান্ত ভাবে কথা বলুন। কেন ফল খারাপ হলো, তার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করা সহজ।

Advertisement

অন্যের সঙ্গে তুলনা নয়

প্রত্যেক সন্তানের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে। তাদের নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করা উচিত। অন্য কারও সন্তানের সঙ্গে নিজের সন্তানের তুলনা করা একেবারেই উচিত নয়। প্রতিটি শিশুই স্বতন্ত্র এবং তাদের ক্ষমতা ও দুর্বলতা ভিন্ন। তুলনা করলে সন্তানের মনে হীনম্মন্যতা তৈরি হতে পারে, যা তার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

আত্মবিশ্বাস বাড়ান

সন্তানের ভালো দিকগুলো তুলে ধরুন এবং প্রশংসা করুন। তাদের উপলব্ধি করান, তারা চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে পারবেন। সন্তানের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবেন। তাদের বলুন, একটি পরীক্ষার ফল জীবনের সবকিছু নয়। ব্যর্থতা থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে।

আরও পড়ুন

বছরের ২১ জুন দিনটি কীভাবে বড় হয়ে যায় সঞ্চয়পত্র কেনার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরি হতাশা প্রকাশ নয়

সন্তানের ওপর হতাশ হওয়া স্বাভাবিক কিন্তু তা প্রকাশ করা উচিত নয়। এতে সন্তানের আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে। সন্তানেরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন।

Advertisement

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

অতীতের ব্যর্থতা নিয়ে বেশি আলোচনা না করে ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করুন। সন্তানকে তার লক্ষ্য স্থির করতে সাহায্য করুন। নতুন উদ্যমে পড়াশোনা শুরু করার জন্য তাকে উৎসাহিত করুন।

ইতিবাচক মনোভাব

সন্তানের মনে ইতিবাচক মনোভাব জাগিয়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। তাকে বোঝাতে হবে, চেষ্টা করলে সবকিছুই সম্ভব। তার অন্যান্য সাফল্যের প্রশংসা করতে চেষ্টা করুন। এতে সন্তানেরা নতুন করে চেষ্টা করার অনুপ্রেরণা পাবেন।

সর্বোপরি, আশানুরূপ ফলাফল না হওয়ায় চাপ দেবেন না। তাদের বুঝতে এবং বোঝাতে চেষ্টা করুন। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং পাশে থাকা সবচেয়ে জরুরি।

লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ।

এসইউ/এমএস