তথ্যপ্রযুক্তি

বাইকের ‘এবিএস সিস্টেম’ আসলে কী জানেন?

বাইকের ‘এবিএস সিস্টেম’ আসলে কী জানেন?

বাইক কেনার সময় কিংবা নতুন বাইক এলে তাতে এবিএস সিস্টেম বা এবিএস ফিচার আছে কি না তা দেখে নেন। বাইকের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফিচার এটি। এবিএস বা অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম। মোটরসাইকেলে এমন সব বৈশিষ্ট্য বা ফিচার দেওয়া হয়, যা রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতাকে আরও ভালো এবং উন্নত করে তোলে। তার মধ্যে এটি একটি।

Advertisement

যখন কেউ বাইক চালান, তখন তাকে ব্রেক কষতেই হয় বা ব্রেক ব্যবহার করতেই হয়। আসলে মোটরসাইকের যাতে পিছলে না যায়, সেই দিকটা প্রতিরোধ করার কাজ করে এবিএস সিস্টেম। যে বাইকে এই সিস্টেম ইনস্টল করা থাকে, তা সহজেই পিছলে পড়ে যায় না।

অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেমের তিনটি অংশ রয়েছে। আর সেই তিনটি অংশ হলো-ইসিইউ কিট, ব্রেক এবং হুইল স্পিড সেন্সর। আর এই সব কটিই ইনস্টল করা থাকে বাইকের সামনের এবং পেছনের চাকায়। আসলে স্পিড সেন্সর চাকার লক আপ মনিটর করে। আচমকা ব্রেক কষার প্রয়োজন হলে এই জিনিসটি একটি নির্দিষ্ট দূরত্বেই চাকাটিকে প্রতিরোধ করে।

এবিএসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, বাইক আরোহী যত দ্রুতই বাইক চালান না কেন, এতে লাগানো ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিট বাইকটিকে পিছলে পড়ে যেতে দেয় না এবং এটি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও হ্রাস করে। শুধু তাই নয়, বাইকের স্ক্রিনে একটি আলো ভেসে ওঠে। আর এই আলোটিই নির্দেশ করে যে, এই সিস্টেমটি ঠিকভাবে কাজ করছে।

Advertisement

বাইকের এই ফিচারটির জন্য জরুরিকালীন অবস্থায় ব্রেক কষলে কিংবা এমার্জেন্সি ব্রেকিংয়ের ক্ষেত্রে বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে না। এমনকি বাইক যত বেশি স্পিডেই থাকুক না কেন, তা সত্ত্বেও বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারায় না। আর বাইকটি পিছলে যায় না। এর পাশাপাশি বাইকটি একটি সরলরেখায় থামার ক্ষেত্রেও এটি সহায়ক হয়ে ওঠে। ফলে দুর্ঘটনাও রোধ হয়।

আরও পড়ুন প্রথম বাইক কেনার ক্ষেত্রে কোন মডেল বেছে নেবেন বৃষ্টিতে বাইকের সাইলেন্সারে পানি ঢুকলে কী করবেন?

কেএসকে/এএসএম