খেলাধুলা

প্রথম দিনে উইকেটের আচরণ দেখেই ঘাবড়ে যান বাংলাদেশের ব্যাটাররা!

প্রথম দিনে উইকেটের আচরণ দেখেই ঘাবড়ে যান বাংলাদেশের ব্যাটাররা!

সবাই বলছেন, গল আর কলম্বোর পিচের চরিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। দুটি উইকেট ছিল দুইরকম। গলের পিচ ছিল ব্যাটারদের পক্ষে। বল তেমন মুভ করেনি, যে কারণে রান উঠেছে। দুই দলের গড়পড়তা স্কোরলাইন ছিল প্রায় ৫০০।

Advertisement

কিন্তু কলম্বোর সিংহালিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠের পিচের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে লঙ্কান ব্যাটিংয়ের সময় মনে হলো উইকেট একই আছে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় দেখে মনে হলো গলের সাথে এ পিচের ফারাক বিস্তর। লঙ্কানরা গলে বাংলাদেশের ৪৯৫ রানের জবাবে করেছিল ৪৮৫। আর কলম্বোতে প্রথম ইনিংসে ২৪৭ ও দ্বিতীয়বার ১৩৩ রান করা বাংলাদেশ দুই বারে যা করলো স্বাগতিকদের এক ইনিংসের রান ছিল তারচেয়ে ৭৮ বেশি।

যে পিচে পাথুম নিশাঙ্কা, দিনেশ চান্দিমালরা স্বচ্ছন্দে খেলে রান করলেন; একই পিচে রীতিমত সংগ্রাম করতে দেখা গেছে সাদমান, বিজয়, মুমিনুল, শান্ত, মুশফিকদের। সেটা কেন? তার উত্তর দিয়েছেন হান্নান সরকার।

জাতীয় দলের এই সাবেক ওপেনার ও নির্বাচক বলেন, প্রথম টেস্টের উইকেট ছিল ব্যাটিং স্বর্গ। তবে দ্বিতীয় টেস্টের উইকেটের আচরণের একটা পার্থক্য ছিল। সেটা কী? হন্নানের ব্যাখ্যা, ‘গলের উইকেট প্রথম দিন প্রথম ঘণ্টা থেকেই ব্যাটারদের পক্ষে ছিল। নতুন বল তেমন সুইং করেনি। বাড়তি গতি, বাউন্স কিছুই ছিল না। বল ব্যাটে এসেছে। ব্যাটাররা দেখে দেখে খেলে উইকেটে লম্বা সময় থাকতে পেরেছেন। রানও করেছেন। কিন্তু কলম্বোয় দ্বিতীয় টেস্টের শুরুতেই উইকেটে একটু আধটু বল মুভ করছিল। বাউন্সও ছিল গলের চেয়ে বেশি।’

Advertisement

‘বিজয়ের আউটটা দেখেন, শান্তর আউট দুটি দেখেন, দেখবেন বল মুভ করছিল। আর ওই আউট দুটির চরম নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়েছে পরের ব্যাটারদের ব্যাটিংয়ে। সাধারণত ওপেনারদের ব্যাট চালনা, তাদের আচরণ দেখেই বাকি প্লেয়াররা ধারণা নিয়ে নেন উইকেট কেমন। একটা জাজমেন্ট করার চেষ্টা করেন।’

হান্নান যোগ করেন, ‘লঙ্কান বোলাররা উইকেট বুঝে বল করেছে। যেখান থেকে মুভমেন্ট আদায় করা সম্ভব, ঠিক সেইখানে বল ফেলার চেষ্টা করেছে। তারা কারেক্টলি সে কাজটা করেছে। তাতে করে আমাদের পরের ব্যাটারদের মনে হয়েছে কলম্বোর উইকেট বুঝি খুব কঠিন। তখন ব্যাটারদের গেম প্ল্যান চেঞ্জ হয়ে যায়। তারা তখন মনে মনে ভাবতে শুরু করে, এ উইকেটে বল মুভ করছে। তাই এখানে বুঝি টিকে থাকা যাবে না।’

‘পরের ব্যাটাররা হয়তো ভাবতে শুরু করেন, আমি খুব ডিফেন্সিভ খেললে রান করতে পারব না। শটস খেলতে হবে। প্রথম টেস্টে ভালো উইকেট ছিল। ব্যাটাররা রয়েসয়ে খেলতে পেরেছে। কিন্তু দ্বিতীয় দ্বিতীয় টেস্টে যখন বল শুরু থেকে একটু ন্যাচারাল মুভমেন্ট আর পেস-বাউন্স পেলো এবং বিজয় ও শান্ত আউট হয়ে গেল; তখনই বাকিরা বুঝে নিলেন, এটা কঠিন উইকেট। এখানে শটস খেলতে হবে। নাহলে টিকে থাকা যাবে না। এটা একটা বড় কারণ (ব্যাটিং ব্যর্থতার)। এই মাইন্ড সেট বদলে আমরা দক্ষতার ছাপ রাখতে পারিনি।’

এআরবি/এমএমআর/এএসএম

Advertisement