অর্থনীতি

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের বোনা কাপড়, পাট ও সুতার পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে এই নিষেধাজ্ঞা ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে যাওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ওপর প্রযোজ্য হবে না।

Advertisement

শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি হবে না। শুধুমাত্র নাহভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে নির্দিষ্ট এসব পণ্য আমদানি করা যাবে। যার মধ্যে রয়েছে পাটজাত পণ্য, একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়, একক শণ সুতা, পাটের একক সুতা, ব্লিচ না করা পাটের বোনা কাপড়।

এই নিষেধাজ্ঞা ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে যাওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ওপর প্রযোজ্য হবে না। তবে, নেপাল ও ভুটান হয়ে বাংলাদেশের এসব পণ্যের পুনরায় ভারতে রপ্তানি অনুমোদিত হবে না।

Advertisement

এর আগে গত মে মাসে নিজেদের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত।

এর আগে গত ১৭ মে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক (আরএমজি) ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রীসহ কিছু পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।

আরও পড়ুন

ভারতে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি বেশকিছু পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা স্থলপথে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের কিছু নির্দিষ্ট পণ্য ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনো স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। কেবল নাভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়েই প্রবেশের অনুমতি থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞা ভারতের মধ্যদিয়ে পরিবহনকারী বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, যা নেপাল ও ভুটানের উদ্দেশে পাঠানো হবে। এ নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়েছে।

Advertisement

ফল-ফলের স্বাদযুক্ত ও কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী, তুলা ও সুতির সুতার বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি তৈরিপণ্য আমদানি, নিজস্ব শিল্পের জন্য ইনপুট তৈরি করে এমন রঙিন পদার্থ, রং, প্লাস্টিসাইজার, কাঠের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য পণ্য আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের কোনো স্থল কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস)/ ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) ও পশ্চিমবঙ্গের (এলসিএস) চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে, বাংলাদেশ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল এবং চূর্ণী পাথর প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয় বলেও উল্লেখ করা হয়।

এসআর