শনিবার (২৮ জুন) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের আয়োজন করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এদিন প্রায় ১০ লাখ মানুষের জমায়েতের পরিকল্পনা দলটির। এ মহাসমাবেশের অন্যতম দাবি পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচন বলে জানায় দলটি।
Advertisement
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। এছাড়া পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি একমত এমন সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলেও জানায় দলটি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মহাসমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্মমহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিগত ১৫ বছর আমরা এভাবে কোন সমাবেশ করতে পারেনি। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এটা আমাদের দলীয় সর্ববৃহৎ সমাবেশ। আমরা ঢাকাবাসীসহ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা প্রত্যাশা করি। শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লোকে লোকারণ্য হবে। দেশের বিভিন্ন জেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অনেকেই এই সমাবেশে আসবেন।
তিনি বলেন, এই মহাসমাবেশের মূল দাবি সং খ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি থাকবে। আমরা এই দাবির পক্ষে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এ ছাড়াও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা সক্রিয় ছিলেন তাদের অনেক দল সংগঠনকে আমরা দাওয়াত দিচ্ছি।
Advertisement
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ ইউনুছ আহমদ বলেন, আমরা নায়েবে আমিরকে আহ্বায়ক করে ২৪ সদস্যের একটি কমিটি করেছি। জেলা, মহানগরসহ সব থানায় মিছিল হচ্ছে। আমাদের কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য অনেকেই ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের মুন্সিগঞ্জে প্রচার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন একটা শান্তিকামী দল। যারা এমন কাজ করছেন আমরা তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, হাজার হাজার গাড়ি আসবে, দক্ষিণাঞ্চল থেকে লঞ্চ ভরে ভরে আসবে ইনশাল্লাহ। আমরা সুনির্দিষ্ট ভাবে কাউকে দায়ী করতে চাচ্ছি না। অতীতে যে রাজনৈতিক চর্চা হয়েছে আমরা তা চাই না। আমরা একটা ভাল পরিবেশ চাই।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেও হতে পারে, দুই এক মাস পরেও হয়তে পারে৷ আমরা সুনির্দিষ্ট কোন ডেডলাইন দিতে চাই না। আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের একটা ভোটবাক্স হবে। এই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এএএম/জেএইচ
Advertisement