চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম ছাত্রনেতা ও ‘জুলাই ঐক্য’-এর সংগঠক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেছেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো জুলাই সনদ ঘোষণা করা হয়নি। সরকার একাধিকবার ওয়াদা করেও তা বাস্তবায়ন করেনি। জুলাই সনদ কোন দেশ থেকে তৈরি হচ্ছে, তা সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে। বাংলাদেশের ছাত্রজনতা কোনো বিদেশি দূতাবাসের ঘোষণাপত্র গ্রহণ করবে না।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় গণহত্যার বিচার, বিপ্লবীদের সাংবিধানিক নিরাপত্তা এবং ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মুসাদ্দেক আলী বলেন, ৭২ সালে একটি বিদেশি দেশের লেখা গল্প বাংলাদেশের মানুষের সামনে সংবিধান হিসেবে হাজির করা হয়েছিল। সেই সংবিধানই হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানিয়েছে।
সমাবেশে ‘জুলাই ঐক্য’-এর আরেক সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবি জুবায়ের বলেন, ইন্টেরিম সরকারের কাছে আমাদের প্রধান দাবি ছিল গণহত্যার বিচার, জুলাইয়ের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, শহিদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু তারা প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের পরবর্তী সরকার থেকেও আমরা আশানুরূপ অবস্থান দেখিনি। ইন্টেরিম সরকারকে বলছি, সময় থাকতে সাবধান হোন, জুলাইয়ের ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ শুরু করুন। না হলে আপনাদের বিরুদ্ধেও ছাত্রজনতা আন্দোলনে নামবে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, জুলাই ঐক্য আগামী চারদিন সারাদেশে গণসংযোগ করবে। জুলাই সনদের দাবিতে আগামী ১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ছাত্র-জনতার গণমিছিল।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘জুলাই ঐক্য’-এর সংগঠক প্লাবন তারিক, ইসরাফিল ফরাজী, মাকসুদ রহমান প্রমুখ।
এফএআর/জেএইচ
Advertisement