আন্তর্জাতিক

অবসরের পর বাকি জীবন কাটাবো ধর্মগ্রন্থ পড়ে ও চাষ করে: অমিত শাহ

অবসরের পর বাকি জীবন কাটাবো ধর্মগ্রন্থ পড়ে ও চাষ করে: অমিত শাহ

হিসাব বলছে, বয়স ৬০ পেরিয়েছে। এখনই কি রাজনীতি থেকে অবসরের কথা ভাবছেন? জল্পনা উস্কে দিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অবসর নেওয়ার পর কী করবেন, তাও জানিয়ে দিলেন। রাজনীতির চৌহদ্দির বাইরে, ঠিক কেমন জীবন কাটাতে চান, খোলসা করলেন তিনি। আর তাতেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে শুধু অবসরজীবনের পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছেন শাহ, খুব শিগগির অবসর নিতে চলেছেন বলে জানাননি।

Advertisement

বুধবার (৯ জুলাই) গুজরাট, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নারী ও সমাজকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজের ভবিষ্যৎ জীবনের পরিকল্পনা জানান অমিত শাহ। তার বক্তব্য, আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি- অবসরের পর জীবনের বাকি সময়টা বেদ, উপনিষদ এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে উৎসর্গ করবো।

শাহ জানিয়েছেন, রাসায়নিক ব্যবহার করে ফলানো গম থেকে শরীরে গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষে আগ্রহী তিনি। তার ভাষ্য, রাসায়নিক সার ব্যবহার করে ফলানো গম থেকে ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা হয়। আগে এসব জানতাম না আমরা। রাসায়নিক সার মুক্ত খাবার খাওয়ার অর্থ জীবনে ওষুধের প্রয়োজন পড়বে না।

শুধু রোগমুক্তিই নয়, প্রাকৃতিক চাষে শস্যের গুণমানও ভালো হয় বলে জানান শাহ। তার কথায়, নিজের খামারে আমি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষ করছি। তাতে ফলনও হচ্ছে প্রায় দেড় গুণ বেশি। ভারী বৃষ্টি হলে পানি বেরিয়ে যায় অনেক সময়। কিন্তু প্রাকৃতিক চাষে বৃষ্টির একটি ফোঁটাও নষ্ট হয় না। সরাসরি মাটিতে প্রবেশ করে বৃষ্টির পানি। রন্ধ্র দিয়ে জল শুষে নেয় মাটি, বেশি মাত্রায় সার রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে যা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

মাটিতে যে কেঁচো বাস করে, তারাই প্রাকৃতিক সার উৎপাদন করে। কিন্তু সিন্থেটিক সার ব্যবহারের ফলে কেঁচো মরে যাচ্ছে বলে উদ্বেগও প্রকাশ করেন শাহ। জানান, প্রকৃতি নিজেই নিজের ইউরিয়া, ডায়ামোনিয়াম ফসফেট, মনোপটাসিয়াম ফসফেট তৈরি করেছে। কিন্তু রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে তা নষ্ট হচ্ছে।

নিজের রাজনৈতিক জীবনও ফিরে দেখেন শাহ। জানান, দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে একাধিক সামলেছেন যদিও, তবে কো-অপারেশন মন্ত্রণালয় তার মনে বিশেষ জায়গা দখল করে রয়েছে। তিনি বলেন, যখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলাম, তখন সবাই বলেছিলেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছি। কিন্তু যেদিন কো-অপারেশন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলাম, সেদিন সেই দায়িত্বই বড় মনে হয়েছিল। দেশের কৃষক, দরিদ্র, গ্রাম ও পশুপাখির জন্য কাজের সুযোগ পেয়েছিলাম।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

Advertisement