বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, নির্ভরযোগ্য ব্যাটার। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডে তার অধিনায়কত্বেই প্রথম বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। এরপর প্রায় একবছর পর ২০০০ সালের ২৬ জুন বাংলাদেশ যখন টেস্ট মর্যাদা পায়, তখনও তিনিই টাইগার ক্যাপ্টেন; কিন্তু যখন অভিষেক টেস্টের দল সাজানো হলো ঠিক তখন বদলে যায় নেতৃত্ব। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পরিবর্তে প্রথম টেস্টের জন্য অধিনায়ক নির্বাচন করা হয় নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে।
Advertisement
এরপর নানান ঘটনা পেরিয়ে অবশেষে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে অভিষেক টেস্টে খেলেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অভিষেকেই ইতিহাস গড়েন তিনি। খেলেন ১৪৫ রানের ঐতিহাসিক এক ইনিংস। ক্রিকেটের ইতিহাসে যা স্বর্ণোজ্জ্বল অক্ষরে লেখা থাকবে। নিজের অভিষেকেই নয়, দেশের অভিষেকেই সেঞ্চুরি করা বিরল এক ক্রিকেটার তিনি।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল এখন যেমন
২০০২ সালেই ক্রিকেট ছেড়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এরপর তিনি জড়িয়ে যান কোচিংয়ে। পাশাপাশি পরিবার নিয়ে তিনি পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। মেলবোর্নে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম দুই লেভেল কোচিং কোর্স সম্পন্ন করে ২০০৫ সালে ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়ানডে ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। মাঝে একবার আবাহনীর কোচ হয়ে এসেছিলেন এবং প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের অভিষেকেই আবাহনীকে সাত বছরের ট্রফিখরা কাটিয়ে চ্যাম্পিয়ন করেন।
Advertisement
উচ্চতর কোচিং কোর্স করার জন্য আবার ফিরে যান অস্ট্রেলিয়ায়। প্রেস্টিজিয়াস লেভেল-৩ কোচিং কোর্স সম্পন্ন করে ২০০৯ সালে কাজ শুরু করেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে। এসিসিতে ৮ বছর কাজ করেন। এ সময় তিনি চীন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, মিয়ানমার, ব্রুনেই, আফগানিস্তান এবং আরব আমিরাতসহ অনেকগুলো দেশে মোট ৮০টি কোচিং কোর্স পরিচালনা করেন।
২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে বুলবুল কাজ শুরু করেন আইসিসির ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে। এসিসিতে থাকতে কাজ করেছেন এশিয়ায় ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে। আইসিসিতে সুযোগ পেয়ে বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করেন। ২০২৫ সালের ৩০ মে নতুন পরিচয়ে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত আইসিসির ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবেই কাজ করেন বুলবুল।
অভিষেক টেস্টের আগে নেতৃত্ব হারানো
অভিষেক টেস্টের আগে নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া, শুধু বুলবুলের জন্য নয়। যে কারও জন্যই ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবে নেওয়া কঠিন ছিল। অবস্থা এমন ছিল যে, ৯৯‘র বিশ্বকাপ ক্যাপ্টেন বুলবুলই হবেন প্রথম টেস্ট ক্যাপ্টেন; কিন্তু তা হয়নি। সেটা না হওয়ায় একটা মানসিক ধাক্কা হয়তো পেয়েছিলেন বুলবুল। তার প্রভাবেই হয়তো টেস্ট অভিষেকের আগে কেনিয়ায় মিনি ওয়ার্ল্ডকাপ, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর- কোথাও তেমন ভালো পারফরম্যান্স করা সম্ভব হয়নি। দেশে ফিরে প্র্যাকটিস ম্যাচগুলোয়ও রান পাননি তেমন।
Advertisement
মোটকথা হঠাৎ বুলবুলের ব্যাটে রান খরা দেখা দেয়। সেই রান খরা তাকে অভিষেক টেস্ট থেকে প্রায় বাদ দেওয়ার কারণ হতে যাচ্ছিল। শুনলে হয়তো অবাক হবেন, ভারতের বিপক্ষে দারুণ সেঞ্চুরি করা আমিনুল ইসলাম বুলবুলের অভিষেকে টেস্ট খেলাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।
নেতৃত্ব হারানো এবং অফ ফর্ম নিয়ে বুলবুলের অনুভূতি
বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সেখানেই তিনি নির্দ্বিধায় জানান, ভারতের বিপক্ষে ২০০০ সালের নভেম্বরে হওয়া প্রথম টেস্ট শুরুর আগে বুলবুলের দিনকাল মোটেই ভালো কাটেনি। অকপটে বলে দিলেন, ‘আমার মনোবল থেকে শুরু করে ওভারঅল নিজেকে তৈরি করার যে অবস্থা ছিল, সেটা অত ভালো ছিল না।’
বুলবুল মনে করেন সেই ভালো না হওয়ারও কতগুলো কারণ ছিল। কি সে সব কারণ? বুলবুলের ব্যাখ্যা, ‘ফার্স্ট অব অল ঘটনা ছিল, যখন টেস্ট স্ট্যাটাস পাই তখন আমি অধিনায়ক ছিলাম। আবার যখন বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ খেলে তখন আমি অধিনায়ক না। এই দুটোর মাঝে যে সময়টা গেছে এই সময়টা আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি আমার ফিটনেস নিয়ে।’
তখনকার সময়ের কথা জানিয়ে বুলবুল বলেন, ‘তখন আমি ইংলান্ডে থাকতাম এবং সেখানে চল্লিশ মিনিট করে রানিং করা থেকে শুরু করে কিছু ব্যাটিং প্র্যাকটিস করতাম। নিজেকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলাম, তখন মনে হয়েছিল যে, হয়তো আমার জীবনের সেরা ফিটনেসের সময়টা আমি পার করছি।’
বিসিবিপ্রধান যোগ করেন, ‘ইংল্যান্ড থেকে দেশে আসলাম। এসে আমরা টেস্ট ম্যাচের আগে মিনি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলাম কেনিয়ায়। তারপর সাউথ আফ্রিকায় ট্যুর করেছিলাম। সে সব ট্যুরে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল না আমার। দেশে এসেও আমি প্র্যাকটিস ম্যাচগুলোতে ভালো করতে পারছিলাম না। সব মিলিয়ে ক্যাপ্টেন্সি হারিয়ে অনেক পরিশ্রম করেও সাউথ আফ্রিকা এবং কেনিয়ায় ভালো খেলা সম্ভব হলো না।
তাতে করে কি আপনার টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল? বুলবুলের জবাব, ‘আমার নিজ কানে হয়তো শুনিনি। তবে অন্যের মাধ্যমে শুনেছি যে, পরে যখন আমাকে দলে নেওয়া হয়, তখন অনেকে বলেছিল যে নেওয়ার দরকার নেই। আবার অনেকে বলেছে যে, আচ্ছা এতদিন জাতীয় দলে খেলছে, একটা টেস্ট অন্তত খেলুক।’
আমাদের প্রয়াত এক কোচ এডি বার্লো। তিনি তখন অলরেডি পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারতেন না। ক্যালির মাধ্যমে কিছু ইনফরমেশন পাস করতেন।
আমাদের তখন হেডকোচ ছিলেন ইমরান ভাই। আমাদের ক্যাপ্টেন ছিলেন দুর্জয়, আমাদের একটা সিলেকশন টিম ছিল।
বুলবুলের এই কথার সাথে মিলে যায় অভিষেক টেস্টের কোচ সারোয়ার ইমরান ও অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের কথা। তারা জাগো নিউজের সাথে আলাপে অতীতে বেশ কয়েকবার বলেন, ‘আমিনুল ইসলাম বুলবুল আর হাবিবুল বাশার সুমনকে খেলানো নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করছিল। তাদের বিশেষ করে বুলবুলকে নেওয়ার ব্যাপারে নাকি টিম ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ড থেকেই আপত্তি উঠেছিল।’
তবে অধিনায়ক নাইমুর রহমান বরাবরই দাবি করেন, তিনি সব সময়ই বুলবুলকে খেলানোর পক্ষে ছিলেন এবং বুলবুল-সুমনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চেয়েছেন।
অভিষেক টেস্টে বুলবুলের পারফরম্যান্স ও তার কথা
বাস্তবে বুলবুল সত্যিই সে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে উপহার দেন এক সত্যিকার টেস্ট ইনিংস। কোনো রকম তাড়াহুড়ো না করে, ধুমধাম আর এদিক ওদিক না মেরে ঠান্ডা মাথায় ধৈর্য ধরে ক্রিকেট ব্যাকরণ মেনে টেস্টের প্রথাগত ব্যাটিংটাই করেন বুলবুল।
বলের মেধা ও গুন বিচার করে যতটা সময় পারা যায় ততক্ষণ উইকেটে টিকে থাকাই ছিল তার মূলমন্ত্র। তারপর আলগা বলগুলো থেকে রান তুলে ধীরে ধীরে অর্ধশতকে পা রাখেন। তারপরও শতরান করে ফেলা। শেষ পর্যন্ত ৮ ঘণ্টার বেশি সময় (৫৩৫ মিনিট) উইকেটে কাটিয়ে দ্বিগুণেরও অনেক বেশি, ৩৮০ বল খেলে ১৭ বাউন্ডারিতে ১৪৫ রানের এক আদর্শ টেস্ট ইনিংস উপহার দেন বুলবুল।
আগের প্রায় বছর খানেক সময় ভালো যাচ্ছিল না। ব্যাট হাসছিল না। রান খরায় ভুগছিলেন। সেখান থেকে হঠাৎ কি এমন হলো যে আপনার ব্যাট থেকে শুধু দেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরিটিই বেরিয়ে আসলো?
আমিনুলের ব্যাখ্যা, ‘অভিষেক টেস্ট ম্যাচটা ছিল একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। কারণ এর আগে আমরা টেস্ট ম্যাচ খেলিনি। যদিও প্রত্যেকটা সময় দৃঢ় সংকল্প ছিল ভালো কিছু করার। তবে অমন ইনিংস খেলার ইচ্ছে বলেন, ছক বলেন; সেটা আগে থেকে তৈরি করা ছিল না ‘
তাহলে অত লম্বা সময় উইকেটে থাকা প্রায় সাড়ে ৩০০ বল খেলে ১৪৫ রানের এমন ‘বিগ’ ইনিংস খেললেন কীভাবে? বুলবুলের প্রতীকী ব্যাখ্যা, ‘পুরো ইনিংসটা যদি খেয়াল করেন, দেখবেন যে আমি কোনোটা বাজে শট খেলিনি।’
এর বাইরে আপনি কি কৌশল অবলম্বন করেছিলেন? লক্ষ্য ও পরিকল্পনাই বা কি ছিল? বুলবুলের মূল্যায়ন, ‘আমি আসলে বল বাই বলও কনসেনট্রেট করিনি। বরং ফলো করছিলাম যে কখন লাঞ্চ হবে, কখন টি হবে। কখন টি আর খেলা শেষের মাঝামাঝি একটা ব্রেক হবে।’
বুলবুল স্বীকার করেন, ‘পরবর্তীতে যখন দেখলাম যে ইনিংসটা বড় হচ্ছে তখন মনোযোগটা আরও বেড়ে যায়।’
তারপরও অভিষেক টেস্টের অমন লম্বা ইনিংস যেন ছিল তার নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার একটি দিন। তাই মুখে এমন কথা, ‘সাধারণত ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ করে বাজে বা ফালতু শট খেলেই আমরা বেশিরভাগ সময় আউট হয়ে যাই; কিন্তু ওইদিন কেন জানি মনে হচ্ছিল যে, বাজে বা ফালতু শট কম খেলি। ভুল ডিসিশন নেওয়ার চিন্তাও মাথায় এসেছে কম। সেটা অত্যন্ত ভালো দিক ছিল।’
২৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য
অভিষেক টেস্টের আগের ক্রিকেটের চেয়ে ২৫ বছর পর আজকের বাংলাদেশের ক্রিকেট ঠিক যতটা আগানোর কথা ছিল ততটা আসলে আগায়নি। আপনাকে যদি কোনো কারণ চিহ্নিত করতে বলা হয়, সেটা বর্তমান বিসিবি সভাপতি হিসেবে না, একজন ক্রিকেটার হিসেবে বলবেন, কোন কোন কাজগুলো আমাদের মিসিং ছিল এবং আমরা কোন কোন জায়গায় ব্যর্থতা বা অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছি?
এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বিসিবি সভাপতির ব্যাখ্যা, ‘আসলে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান উন্নত করতে না পারা এবং দেশের ক্রিকেটে ভালো উইকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ কম খেলার কারণেই কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়নি।’
নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের এক ঘটনার উদ্ধৃত করে বুলবুল বলেন, ‘আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের অবস্থা কতটা খারাপ ছিল, একটি ঘটনা বলি, আমরা যখন প্রথম শ্রেণি খেলা শুরু করি, তার প্রথম দিকের ঘটনা, আমরা বরিশাল গিয়েছিলাম জাতীয় লিগ খেলতে। গিয়ে বরিশাল যখন নেমেছি, ঠিক তখন পিচ তৈরির মাটিও নেমেছে। চিন্তা করুন! আমরা যখন ওখানে, আর তখনই পিচের মাটি পৌঁছেছে। তারপর আমাদের ম্যাচ দুদিন পিছিয়ে দেওয়া হলো। দুদিনে পিচ তৈরি করে খেলা! ভাবুন একবার। চিন্তা করুন, ওই দুদিনের পিচে আমরা কত আর ভালো খেলবো? আর কোন মানের উইকেট ছিল তখন?’
তবে টেস্ট মর্যাদা লাভের আগের সময়টাকে তার নিজের ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ এবং নিজেকে নানাভাবে তৈরির সময় বলে মনে করেন জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক। নিজের ক্যারিয়ার গঠনে তিনি ঢাকার দুটি নামি ও ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের প্রশংসা করেন। বুলবুলের কথা, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটটা ছিল তখন পঞ্চাশ ওভারের। ডোমেস্টিক লিগ মানে ঢাকা লিগ তখন অত্যন্ত কম্পিটিটিভ ছিল। আমি বিমান এবং মোহামেডানের কাছে কৃতজ্ঞ।’
মোহামেডানে মুগ্ধ বুলবুল
ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের বিশেষ প্রশংসা করে বুলবুল বলেন, ‘মোহামেডান থেকে আমি পেশাদারত্ব শিখেছিলাম। সাথে মাঠে ও মাঠের বাইরের চাপ সামলে কীভাবে ভালো পারফর্ম করতে হয়, সেটাও জেনে ও বুঝেছিলাম।’
সেটা কীভাবে? বুলবুল বলেন, ‘মোহামেডান সাপোর্টারদের প্রত্যাশা এসব আমাদের শিখিয়েছিল, কীভাবে প্রেশারের মধ্যে থেকেও ভালো ক্রিকেট খেলতে হয়।’
বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন কোথায় দাঁড়িয়ে
বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান ফিরে গেলেন অতীতে। তার চোখে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট মানে ঢাকার ক্লাব লিগ তখন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিল; কিন্তু এখন তা নেই।’
কারণও খুঁজে বের করেছেন তিনি। কারণ, আমরা টেস্ট মর্যাদা লাভের পর ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতি নজর ও গুরুত্ব কম দিতে শুরু করি। তাতে করে ঘরের ক্রিকেটের মান কমে যায়। তাই তো বুলবুলের শেষ কথা, ‘এখন অনেক বিদেশি ম্যাচ, ইন্টারন্যাশনাল টেস্ট ম্যাচ খেলছি, ওডিআই খেলছি, টি-টোয়েন্টি খেলছি। তারপরও আমার কাছে মনে হয় যে, ডোমেস্টিক ক্রিকেটটা আগে ভালো ছিল। আর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটটা এখন আগের চেয়ে ভালো।’
এআরবি/আইএইচএস/