অর্থনীতি

ইন্দোনেশিয়া থেকে ২০৮ কোটি টাকায় কেনা হবে ২৫ হাজার টন অকটেন

ইন্দোনেশিয়া থেকে ২০৮ কোটি টাকায় কেনা হবে ২৫ হাজার টন অকটেন

ইন্দোনেশিয়া থেকে চলতি জুন মাসে ২৫ হাজার মেট্রিক টন অকটেন আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এছাড়া চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১০ হাজার ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।

Advertisement

বুধবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে ৩টি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের থেকে ১টি প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি পর্যালোচনা করে এই ৭টি প্রস্তাবই অনুমোদন দিয়েছে। অকটেন কেনার প্রস্তাবটি নিয়ে আসে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে চলতি জুন মাসে ২৫ হাজার মেট্রিক টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানির প্রস্তাব উপস্থান করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা অনুমোদেন দেয়।

Advertisement

ইন্দোনেশিয়ার পিটি বুমি সিয়াক পুসাকো জাপিন (বিএসপি) থেকে এই অকটেন আমদানিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রতি ব্যারেলের প্রিমিয়াম প্রাইস ধরা হয়েছে ৫.৯৩ মার্কিন ডলার এবং রেফারেন্স প্রাইস ধরা হয়েছে ৭৩.৬১০ মার্কিন ডলার।

এছাড়া বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জিটুজি মেয়াদি চুক্তির আওতায় পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির লক্ষ্যে চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইস অনুযায়ী ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এই পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। থাইল্যান্ডের পিটিটিটি, আরব আমিরাতে ইএনওসি, চীনের প্রেট্রোচীনা ও ইউনিপেক, ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল এবং ভরতের আইওসিএল থেকে এই জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, হরমুজের কারণে কোনো প্রভাব পড়েনি। যুদ্ধের ভেতরেও জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে সাশ্রয় হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগে যে প্রাইস ছিল সেটা, যুদ্ধ বন্ধের পর প্রাইস কমেছে। ইমিডিয়েটলি আমরা রি-টেন্ডার করে ৫ থেকে ১০ ডলার কম পেয়েছি। সেখানে প্রায় ৭০-৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটা জ্বালানি উপদেষ্টার একটা ক্রেডিট।

Advertisement

এমএএস/ইএ