নিরাপদ আবাসন ও নতুন হল নির্মাণের দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে তারা এ ঘোষণা দেন।
Advertisement
এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা জানান, নিরাপদ বিকল্প আবাসন এবং নতুন হল নির্মাণের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলনে গতকাল (সোমবার) মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। বৈঠকে জানানো হয়, সরকারি মেডিকেল কলেজসমূহের জন্য ১৯টি হল নির্মাণের যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জন্য দুটি হলের বাজেটের সমপরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে।
তারা জানান, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য একনেক সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনাসমূহের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের হল নির্মাণের ব্যাপারটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে, বৈঠকে এ মর্মে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বৈঠক ফলপ্রসূ হয়।
আরও পড়ুন
Advertisement
পরবর্তী পরিকল্পনা নির্ধারণ করতে শিক্ষার্থীরা আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে তারা কে-৮২ ব্যাচের আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন। তবে সুস্পষ্ট কোনো সমাধান দিতে না পারায় তারা ক্লাসে না ফেরার সিদ্ধান্ত বহাল রাখখেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানান।
তবে শিক্ষার্থীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, শিগগির কর্তৃপক্ষ কে-৮২ এর আবাসনের জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেবেন এবং তারাও আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফিরতে পারবেন।
গত এক মাস ধরে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করছেন ঢামেক শিক্ষার্থীরা। এমনকি নতুন ব্যাচের নবীনবরণ অনুষ্ঠানও বর্জন করা হয়েছে। এ অবস্থায় গত ২১ জুন একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং ডেকে ২২ জুন থেকে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে সেই নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপদেষ্টার হল পরিদর্শন ও তাদের সমস্যা শোনার আরটিমেটাম দেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। এরইমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের ডেকে বৈঠক করা হয়। তারা সেখান থেকে সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে যান। তবে কলেজে আজ বৈঠক করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
এসইউজে/এমকেআর/এমএস