পাবনার সুজানগর উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় সুজানগর থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে এসব মামলা করা হয়। মামলায় শনিবার (১২ জুলাই) নয়ন খাঁ নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার নয়ন খাঁ পৌর এলাকার আলতাফ খানের ছেলে।
সূত্র বলছে, সংঘাতে জড়ানো দুই পক্ষ থেকে দুটি ও দল হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সদস্যসচিব আব্দুর রউফ শেখের পক্ষে তার ছেলে রুদ্র ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় নয়ন খাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে অপরপক্ষের পৌরসভার চর সুজানগর এলাকার রশিদ খাঁর স্ত্রী কাজলী খাতুনও ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
Advertisement
এদিকে উভয়পক্ষের এ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে দোষীদের শাস্তির জন্য দলের পক্ষ থেকেও আরেকটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম এ লিখিত অভিযোগ দেন।
শুক্রবার দলীয় নির্দেশে সংঘাতের ঘটনা তদন্তে সুজানগরে এসে এ অভিযোগ দেন তিনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন সদস্যের তদন্ত প্রতিনিধি দল সাধারণ জনগণের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। এছাড়া সুজানগর থানা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কয়েক ঘণ্টাব্যাপী জরুরি বৈঠক করেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
আরও পড়ুন:
পাবনায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১৫ পাবনায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বহিষ্কার ১০এসময় প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ও রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম বলেন, এই সংঘর্ষের ঘটনাটি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি তাৎক্ষণিক তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা কার্যকর করেছেন। এছাড়া বিস্তর তদন্ত করতে ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে ঘটনাস্থলে তিন সদস্যের টিম করে আমাদের পাঠিয়েছেন। আমরা এলাকায় এসে সাধারণ মানুষের মতামত নিচ্ছি। প্রশাসনকে অপরাধী যেই হোক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছি।
Advertisement
মামলা ও অভিযোগের বিষয়ে সুজানগর থানার ওসি মজিবর রহমান বলেন, মামলার ভিত্তিতে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে। এছাড়া সব অভিযোগ তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার (৯ জুলাই) সুজানগর পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মজিবর খাঁয়ের অনুসারী আশিক ও সবুজকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রউফ শেখের ভাতিজা ছাত্রদল নেতা কাউছার এবং তার অনুসারীরা। এরপর মজিবর খাঁ ও তার লোকজন দলবদ্ধভাবে এসে কাউছারদের ওপর হামলা চালান। এসময় আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে থামাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে ও মারধর করে আহত করা হয়। সেখানে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন।
আলমগীর হোসাইন নাবিল/এমএন/এমএস