মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে জাতীয় নারী ফুটবল দল। দেশটির ইয়াংগুনে ২৯ জুন শুরু হবে এএফসি এশিয়ান কাপ ফুটবল বাছাইয়ের 'সি' গ্রুপের খেলা। এ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী বাহরাইন, তুর্কমেনিস্তান ও স্বাগতিক মিয়ানমার। ওই দিনই বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে বাহরাইনের বিপক্ষে।
Advertisement
এ বাছাই পর্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এশিয়ান কাপের পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতা পরের বছরের বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক গেমসেরও বাছাইয়ের একটি ধাপ। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বের টিকিট পাবে বাংলাদেশের মেয়েরা।
বাংলাদেশ সেই স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবতা অনেক কঠিন। নারী ফুটবলে বাংলাদেশ এখনো দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে নিজেদের সেভাবে তুলে ধরতে পারেনি। এর আগে দুই আসরে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা ৫ ম্যাচ খেলে সবগুলোই হেরেছে।
টানা দুইবার সাফ শিরোপা জয়ের পর বাংলাদেশের মেয়েদের নিয়ে প্রত্যাশা বেড়েছে। সাম্প্রতিক জর্ডানে তিনজাতি সিরিজ খেলে ড্র করেছে ইন্দোনেশিয়া ও স্বাগতিকদের সাথে। শক্তিতে এগিয়ে থাকা দুই দলের বিপক্ষে হার এড়ানোকে বড় সাফল্য হিসেবে নিয়েছেন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার।
Advertisement
সাবিনা খাতুনসহ দেশের সেরা কয়েকজন ফুটবলার বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক মাঠে লড়াই করে যাচ্ছেন কোচ। এই দলটিকেই এখন সেরা বলছেন সিনিয়র খেলোয়াড়দের সথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়া এই ইংলিশ কোচ।
যে তিন দলের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ, তারা শক্তিতে এগিয়ে। তাই বাংলাদেশের জন্য এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বের টিকিট পাওয়া কঠিন চ্যালেঞ্জ।
বাটলার বলেন, ‘এই গ্রুপে আমরা হয়তো আন্ডারডগ। আমি বিশ্বাস করি, যদি সবাই নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স করতে পারে; তাহলে ভালো কিছু হতে পারে। আমি এটাও বিশ্বাস করি মাঝে মাঝে সিস্টেম বদলাতে হয়। আমি একটা ম্যাচেই দুই-তিনটা সিস্টেম খেলিয়েছি। দলে অনেক তরুণ খেলোয়াড় এসেছে, যাদের সময় দিলে দলকে এমন জায়গায় শক্তিশালী করবে।’
গত ২৯ মে ও ৩ জুন বাংলাদেশ দুটি ম্যাচ খেলেছে ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে। ওই সফরে নেওয়া ২৩ জনের দলে তিনটি পরিবর্তন এনেছেন কোচ। বাদ দিয়েছেন শান্তি, মেঘলা ও ফেরদৌসীকে। আর দলে নিয়েছেন স্বর্ণা, মিলি ও নীলাকে।
Advertisement
কোচ বলেন, ‘আমরা বেশি পরিবর্তন করিনি। গোলকিপার চেঞ্জ করেছি কারণ মিলি অনূর্ধ্ব-২০ খেলোয়াড়। রুপনার অবস্থান পরিষ্কারভাবে প্রথম পছন্দ। আর স্বর্ণা ও মিলি আছে। সবচেয়ে বড় কথা, যখন আপনি তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দেবেন, তখন তাদের শেখানোর সময়। তাদের ডানা চেপে ধরলে কখনো উড়তে শিখবে না। এটা জীবন-মরণ প্রশ্ন নয়। সবাই শেখার পথে আছে। এটা একটা যাত্রা। আর বাংলাদেশ মহিলা ফুটবলের জন্য এটা সত্যিই রোমাঞ্চকর একটি যাত্রা। হয়তো কেউ কেউ একমত হবেন না, কিন্তু আমি এটাই বিশ্বাস করি।’
সাবিনা-মাসুরারা থাকলে দল আরো ভালো হতো কিনা? জানতে চাওয়া হলে অধিনায়ক আফঈদা বলেছেন, ‘নো-কমেন্টস’। এ বিষয়ে কোচ বলেছেন, ‘আমি এসব নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। পুরোনো খবরগুলো পুরোনোই থাকুক। চলুন সামনে তাকাই। আমি সেরা ২৩ ফুটবলারকেই বাছাই করেছি।’
আরআই/এমএমআর/এমএস