শুরু করেছিল ইসরায়েল। এরপর তাতে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ইরানের সঙ্গে অঘোষিত যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রও প্রতিপক্ষ। আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতিতে যখন এই অবস্থা, তখন ক্রীড়াঙ্গনেও জোরেসোরে উঠছে যৌক্তিক এক প্রশ্ন-যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপে কি খেলতে পারবে ইরান?
Advertisement
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো। ইরানও এই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে যে শত্রুতা তৈরি হয়েছে, তাতে বড় এক সংকট দেখা দিয়েছে।
ইরান টানা চতুর্থবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি, ২০২৬ বিশ্বকাপে ইরানের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে আমেরিকান ভূখণ্ডে যেকোনো খেলার ক্ষেত্রে।
ইতিহাস বলে, যুদ্ধের সংঘাতে জড়ানো দেশকে এর আগে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালানোয় রাশিয়াকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা ও উয়েফা। এ ছাড়া নব্বইয়ের দশকে বলকান যুদ্ধের কারণে সাবেক যুগোস্লাভিয়াকে নিষিদ্ধ করেছিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি।
Advertisement
২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজনে ফিফার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে কাজ করছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কও বেশ ভালো। সেক্ষেত্রে ট্রাম্প তার প্রভাব খাটিয়ে ইরানকে কাবু করতেও পারেন।
যদি ইরান শেষ পর্যন্ত এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা এড়াতেও পারে, তবু একটা সমস্যা থেকেই যাবে। ট্রাম্প সরকারের অভিবাসন নীতির অধীনে ইরানের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে যুক্তরাষ্ট্রের। ফলে ইরানি নাগরিকরা খেলা দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ইরানের খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য এ নিয়ম হয়তো শিথিল করা হতে পারে।
সেক্ষেত্রে ইরানকে যেন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে খেলতে না হয়, সেভাবে ড্র সাজাতে পারে ফিফা। গ্রুপ-এ'তে পড়লে ইরান তাদের ম্যাচগুলো খেলতে পারবে মেক্সিকোতে। সেখানে প্রবেশে বাধা নেই সমর্থকদের।
তবে সমস্যা হবে যদি ইরান ৪৮ দলের গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে শেষ ৩২-এ উঠে আসে। তখন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে খেলতে হতে পারে। সবমিলিয়ে কিছুটা জটিলতা রয়েই যাচ্ছে।
Advertisement
এমএমআর/এএসএম