চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলস্টেশনে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ২টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন। এতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে এবং দুর্ভোগে পড়েন শত শত যাত্রী।
আন্দোলনকারীরা জানান, ঢাকা-খুলনার মধ্যে চলাচলকারী সব ট্রেন দিনের বেলায় দর্শনায় যাত্রাবিরতি দিলেও রাতের বেলায় সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস থামে না। এতে দর্শনা ও আশপাশের এলাকার যাত্রীরা বিশেষ করে রোগী, শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। বহুদিন ধরে স্টপেজের দাবি জানানো হলেও মিলছে না স্থায়ী সমাধান।
ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র ও দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ তিতুমীর। তবে আন্দোলনকারীরা তাদের আশ্বাসে সন্তুষ্ট হননি, ফলে প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ফিরে আসেন।
Advertisement
পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাতদিনের মধ্যে ট্রেন স্টপেজ সংক্রান্ত দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এরপর পুনরায় চালু হয় রেল চলাচল।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক তানভীর অনিক বলেন, দর্শনা একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলবন্দর, আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ও সীমান্ত অঞ্চল। এখানকার মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করেন। কিন্তু সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস এখানে না থামায় জনগণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অবিলম্বে এ দুই ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে, না হলে আমরা আমরণ অনশনসহ কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।
হুসাইন মালিক/আরএইচ/এএসএম
Advertisement