আইন-আদালত

ইডেন ছাত্রীর মামলায় গায়ক নোবেলের জামিন

ইডেন ছাত্রীর মামলায় গায়ক নোবেলের জামিন

ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীকে বাসাবাড়িতে আটকে রেখে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার আদালত। মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব শুনানি শেষে এক হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

Advertisement

এর আগে রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার আইনজীবী মো.খলিলুর রহমান জামিনের আবেদন করেন। এদিন বিচারক নোবেলের উপস্থিতিতে জামিন শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। আজ নোবেল ও ভিকটিমের উপস্থিতিতে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। নোবেল জামিন জামিন পেলে ভিকটিমের আপত্তি নেই বলে আদালতে জানান। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিন আবেদনে বলা হয়েছে, মামলার আসামি নোবেল গত ২০ মে হতে জেলহাজতে আটক আছেন। যেহেতু বাদিনী ও আসামির মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় বাদিনী মামলাটি দায়ের করেছেন। বাদিনী ও আসামির মধ্যে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি অঙ্গীকারনামা দ্বারা স্বীকার করেছেন। বাদিনীর জিম্মায় আসামি জামিন পাইলে বাদিনীর কোন আপত্তি নাই। আসামি জামিন পাওয়ার পর বিবাহ রেজিস্ট্রি করে নেবেন।

আরও পড়ুন:

Advertisement

কারাগারে নোবেল-প্রিয়ার বিয়ে, দেনমোহরও অনেক

এর আগে ১৮ জুন উভয়ের সম্মতি সাপেক্ষে তাদের বিয়ে সম্পাদন করে আদালতকে অবগত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় কারা কর্তৃপক্ষকে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে নোবেলের আইনজীবী একটি আবেদন করেন।

গত ১৯ মে রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে বাসাবাড়িতে আটকে রেখে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর ডেমরা থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার একটি আদালত। পরদিন ২০ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদী ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন এবং ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজে অধ্যয়নরত। ২০১৮ সালে আসামি নোবেলের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় তার। নোবেল তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রায় সময় কথা-বার্তা বলতেন। একপর্যায়ে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে তার সঙ্গে দেখা করে স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ডেমরা থানা এলাকায় নিজ বাসায় নিয়ে আসেন। নোবেলের বাসায় আসার পর যাওয়ার কথা বললে আসামির সহযোগী অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ২ থেকে ৩ জন তাকে বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন। আসামির কথা মতো তার বাসায় না থাকলে তার মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে মর্মে হুমকি দেন। আসামি নোবেলের ভয়ে কাউকে কোনো কিছু বলার সাহস পাননি। নোবেল তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জন বিবাদীর সহায়তায় তাকে সিঁড়ির মধ্যে চুলের মুঠি ধরে টানা হ্যাঁচড়া করে অপর একটি কক্ষে আটকে রাখেন। উক্ত ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তার বাবা-মা চিনতে পারেন মেয়েটিকে। পরে জরুরি সেবায় গেলো ১৯ মে কল দিলে ডেমরা থানা পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগীকে আসামি নোবেলের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।

এমআইএন/এসএনআর/জেআইএম

Advertisement