আর্থিক অনিয়মসহ একাধিক অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অভিযান চালিয়েছে। এছাড়া অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুষ্টিয়ার গড়াই নদী ড্রেজিং ও তীর সংরক্ষণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পে অভিযান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট টিম।
Advertisement
রোববার (১৩ জুলাই) অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, অভিযানে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র যাচাই এবং শিক্ষক, কর্মচারীসহ অন্যদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যাবলি পূর্ণাঙ্গরূপে পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
কন্টিনজেন্সি বাজেটের অর্থ আত্মসাৎ, প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের নিম্নমানের খাবার প্রদানসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অভিযান চালায়।
দুদকে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ প্রফেসর রিজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগে বলা হয়, তিনি (রিজিয়া সুলতানা) পতিত সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন নিয়েছেন।
Advertisement
এছাড়া কলেজের কন্টিনজেন্সি বাজেটের ১-২ লাখ টাকা ছাড়া বাবি সব অর্থ তছরুপ করার বিষয়ে অভিযোগে বলা হয়েছে। লেইস প্রজেক্টের স্টাডি ট্যুরে কক্সবাজার ভ্রমণ না করেই স্বাক্ষর করে নগদ অর্থ গ্রহণ করা, কলেজের বিভিন্ন প্রকার প্রকল্পের ট্রেনিং কোর্সে ফুডিংয়ের নামে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব নিজে নিয়ে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করাসহ নানান অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রিজিয়া সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আজ দুদকের দুজন কর্মকর্তা এসেছিলেন। তাদের সব তথ্য-প্রমাণ দিয়েছি।
বিগত সরকারের সুবিধাভোগী- এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সরকারি কর্মকর্তা। সরকার আমাকে যেখানে পদায়ন করবে আমি সেখানেই যাবো। আমি ১৪ বিসিএসের একজন কর্মকর্তা। এই ব্যাচের অনেকেই পিআরএলে চলে গেছেন। আমি যদি সরকারের এতই প্রিয়পাত্র হতাম তাহলে কি এখানে আমার পদায়ন হয়? আমারই ব্যাচমেট ডিজি, সরকার কেন আমাকে ডিজি বানাবে না?
তিনি বলেন, আমি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। রাজনৈতিক কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছি না। আমার বিরুদ্ধে কে বা কারা অভিযোগ করেছে সেটা আমার জানা নেই।
Advertisement
এসএম/ইএ/জিকেএস