আন্তর্জাতিক

হামলার লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পরই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল

হামলার লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পরই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল

ইরানে হামলা চালানোর পেছনে নিজেদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে লক্ষ্য ছিল, সেটি অর্জন হওয়ার পরই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২৪ জুন) যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এক বিবৃতিতে এমন দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার।

Advertisement

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ‘দ্বিমুখী হুমকি’ দূর করেছে। ইসরায়েল ইরানের সামরিক নেতৃত্বকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ও দেশটির সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্থাপনা ধ্বংস করেছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোররাতে ইসরায়েলি বাহিনী তেহরানের কেন্দ্রস্থলে সরকারি লক্ষ্যবস্তুতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে। এ সময় বাসিজ বাহিনীর কয়েক শ সদস্যকে নির্মূল করা হয়েছে। ইরানে বিক্ষোভ দমন করতে দেশটির সরকার প্রায়ই এ মিলিশিয়া বাহিনীকে ব্যবহার করে থাকে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিরক্ষায় সহযোগিতা এবং ইরানের পারমাণবিক হুমকি থামাতে সহযোগিতার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে ইসরায়েল।

Advertisement

আল জাজিরার খবর বলছে, সরকারের ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও মোসাদের প্রধানের সঙ্গে সোমবার (২৩ জুন) রাতে আলোচনা করেছেন। মন্ত্রিসভার সঙ্গেও আলোচনা হয় নেতানিয়াহুর। সেখানে বলা হয়, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’র সব লক্ষ্য তো বটেই, তার চেয়ে বেশি কিছু অর্জন হয়েছে। ’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তেহরানের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এছাড়া ইরানের আরও একজন জ্যেষ্ঠ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করারও দাবি করেছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হলে ইসরায়েল উপযুক্ত জবাব দেবে বলেও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ

Advertisement