দেশজুড়ে

সড়কে পড়ে ছিল ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ

সড়কে পড়ে ছিল ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ

ময়মনসিংহে রুহুল আমিন আকাশ নামের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতার মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

সোমবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর শান্তিনগর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

রুহুল আমিন আকাশ নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রহিমপুর বেলুয়াতলী গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদ নওয়াব আলী ছেলে। তিনি একই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আকাশকে সড়কে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান পথচারীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেড় মাস আগে বিয়ে করেন আকাশ। তিনি স্থানীয় দারুল আরকাম মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সোমবার সকালে অচেতন অবস্থায় সড়কে তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সকাল ১০টার দিকে আকাশকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এসময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, রোববার (১৫ জুন) শহরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন রুহুল আমিন আকাশ। সকালে শান্তিনগর এলাকায় একা একা হাঁটতে বের হন তিনি। পরে সেখানে তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান পথচারীরা।

Advertisement

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। হাঁটতে গিয়ে মাথা ঘুরে সড়কে পড়ে কিছুটা রক্তাক্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

কলমাকান্দা থানার ওসি মো. লুৎফুর রহমান বলেন, আকাশ নামের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। তার নামে মামলা ছিল কি-না এই মুহূর্তে মনে নেই। খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর/এএসএম