দেশজুড়ে

রংপুরে প্রস্তুত আইসোলেশন ওয়ার্ড, কিটের অপেক্ষায় পরীক্ষা

রংপুরে প্রস্তুত আইসোলেশন ওয়ার্ড, কিটের অপেক্ষায় পরীক্ষা

রংপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর পরীক্ষা শুরু না হলেও আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু কিটের। কিটসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ ও জনবল নিয়োগ হলেই শুরু হবে পরীক্ষা। এজন্য আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে জানা গেছে।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আখতারুজ্জামান সই করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো চাহিদাপত্রে তিন হাজার র্য্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পিসিআর (করোনা পরীক্ষার মেশিন) ল্যাবের ইনচার্জ ডা. এমএ আজিজ মেডিকেল কলেজের চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। চাহিদাপত্রে কিট, জনবল, পিপি, সার্জিক্যাল গ্লাভসসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের কথা উল্লেখ রয়েছে।

রংপুর সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা জাগো নিউজকে জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় কিটের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কিট এলেই কার্যক্রম শুরু হবে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আমাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী ওয়ার্ড প্রস্তুতের কাজ চলছে। সম্প্রতি হাসপাতালে নতুন একটি আরটি-পিসিআর মেশিন আনা হয়েছে। সেটি ইন্সটলের জন্য সংশ্লিষ্ট মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’

Advertisement

রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজে আরটি-পিসিআর মেশিন ঠিক আছে। করোনা পরীক্ষার কিটসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে পরীক্ষা শুরু হতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে।

আইসিইউ বেড প্রস্তুত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০টি বেড প্রস্তুতের কাজ চলছে। আইসিইউ বেড প্রয়োজন হলে হাসপাতালেই বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হলে আগের মতো সদর হাসপাতাল সংলগ্ন আলাদা করোনা হাসপাতাল ও পর্যাপ্ত আইসিইউ বেড প্রস্তুতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হবে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুরে ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা দিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে এ সংক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিসিন ও শিশু বিভাগে ভিড় ক্রমশই বাড়ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মেডিসিন ওয়ার্ডের দুটি পুরুষ বিভাগে মোট শয্যা সংখ্যা ১১০টি এবং শিশু বিভাগে দুটি ওয়ার্ডে মোট শয্যা সংখ্যা ৮০টির বিপরীতে রোগী রয়েছে প্রায় দ্বিগুণ করে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশির রোগী।

Advertisement

জিতু কবীর/এসআর/এমএস