দেশজুড়ে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ

চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সাত ঘণ্টা পর হাইওয়ে সড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা।

Advertisement

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল থেকে কক্সবাজার টেকনাফ হাইওয়ে সড়কে অবরোধ করেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এনজিও পরিচালিত স্কুল থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ করে এনজিও সংস্থা ব্র্যাক, কোডেক, ফ্রেন্ডশিপ, মুক্তি, ধারা পরিচালিত স্কুলগুলোতে রোহিঙ্গাদের রেখে স্থানীয় এক হাজার ২৫০ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও আন্দোলন করে আসছিলেন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। সবশেষ হাইওয়ে অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। বিষয়টি সমাধানের জন্য ছুটে যান উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরোয়ার জাহান চৌধুরী, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল ফজল, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি সোলতান আহমদ ও শিক্ষক শামীম হোসেন। তারা আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ চাকরিচ্যুত স্থানীয় শিক্ষকদের রোহিঙ্গাদের রেখে স্থানীয় শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এনজিও পরিচালিত স্কুল থেকে স্থানীয় শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা সড়কে আন্দোলন শুরু করেন। আজ মঙ্গলবারও আন্দোলনকারী শিক্ষকরা সড়ক অবরোধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য রাজনৈতিক নেতাসহ আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষকরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পভিত্তিক সব শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম/এসআর/এএসএম

Advertisement