দেশজুড়ে

রংপুরে মুরগির দাম বেড়েছে, কমেছে ডিমের দাম

রংপুরে মুরগির দাম বেড়েছে, কমেছে ডিমের দাম

রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম। তবে দাম কমেছে পোলট্রি মুরগির ডিমের। এছাড়া মসলাসহ আটা, ময়দা, তেল, ডাল আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (৩ জুন) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের মুরগির দাম ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০-১৭০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২২০-২৩০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫০-২৬০ টাকা, পাকিস্তানি (হাইব্রিড) ২০০-২১০ টাকা থেকে বেড়ে ২৩০-২৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৬০-৫৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল আমতলা মোড়ের মুরগি বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, সামনে কোরবানির ঈদ। এসময় বাজারে মুরগির চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম। এছাড়া ঈদের পর বেশ কয়েকদিন মুরগির ব্যবসা ভালো হবে না। এ কারণে ঈদের আগে খামার থেকে মুরগি কিনতে হচ্ছে বেশি দামে, যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। আগামী ৩-৪ দিন দাম আরও বাড়তে পারে।

Advertisement

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিহালি পোলট্রি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৪-৪৫ টাকা। এছাড়া হাঁসের ডিম ৬৫-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতো ৪৫-৫০ টাকা, গাঁজর ১৪০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা, ঝিংগা ৩০-৩৫ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ২৫-৩০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুদকুষি ৩৫-৪০ টাকা, সজনে ৯০-১০০ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০-৫০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০-৩৫ টাকা, পটল ২৫-৩০ টাকা ও বরবটি দাম বেড়ে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি পেঁপে ৪৫-৫০ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, করলা ৩০-৩৫ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৩০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৩০-৪০ টাকা, লেবুর হালি ১০-১৫ টাকা, ধনেপাতা ১২০-১৫০ টাকা থেকে কমে ৮০-১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০টাকা, প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৩০-৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মসলার বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি জিরা ৫৫০-৬০০ টাকা, ছোট এলাচ ৪২০০-৪৬০০ টাকা, বড় এলাচ ২৮০০-৩০০০ টাকা, দারুচিনি ৪৪০-৪৬০ টাকা, লবঙ্গ ১৪০০-১৬০০ টাকা ও গোলমরচি ৮০০-৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৮-২০ টাকা, শিল আলুর দাম বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, ঝাউ, দেশি সাদা এবং বগুড়ার লাল পাকড়ি আলু ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সিটি বাজাররের মুদি ব্যবসায়ী আলম মিয়া বলেন, কোরবানির ঈদ ঘিরে মসলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে, দাম বাড়েনি।

ধাপ বাজারের সবজি বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম তেমন বাড়েনি। অধিকাংশ সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮০-১৯০ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৪০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, ছোলাবুট ১১০-১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) আগের মতোই ৪৫-৪৮ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৩-৫৫ টাকা, বিআর২৮- ৬০-৬৫ টাকা. বিআর ২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৮০-৮৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সবধরেন মাছের দাম বেড়েছে। আকারভেদে রুইমাছ ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা, মৃগেল ২৪০-২৬০ টাকা, কারপু ২২০-২৫০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০ টাকা, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সিটি বাজারের মাছ বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাছ কিনে আনতে হয়। ঈদের পর পরিবনহ সংকট ও আড়ত বন্ধ থাকায় এখন চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে রুই, পাঙাস, সিলভার কার্পসহ প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

জিতু কবীর/এমএন/এমএস