রাঙ্গামাটিতে গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে ধানক্ষেত। এতে পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এ অবস্থায় পাকা ধান কেটে কৃষকদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন হিল আনসার ও হিল ভিডিপি সদস্যরা।
Advertisement
সোমবার (২ জুন) সকালে রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলার সুবলং ও বরুনাছড়ি এলাকায় কৃষকের পাকা ধান কেটে নৌকায় করে বাড়িতে পৌঁছে দেন তারা।
একইসঙ্গে জেলার লংগদু, নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ও সড়কে পাহাড়ধসের ঘটনায় যান চলাচল স্বাভাবিক করতে স্থানীয় প্রশাসনে সঙ্গে কাজ করছে সরকারি স্বেচ্ছাসেবক এই বাহিনীর সদস্যরা।
সুবলং এলাকার কৃষক নয়নমনি চাকমা বলেন, ‘আমরা কাপ্তাই লেকের জলেভাসা জমিতে প্রতি বছর ধানচাষ করি। পানি ওঠার আগেই ফসল কেটে ঘরে তুলি। তবে এবার হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে ফসল কাটার সুযোগ ছিল না। আনসার সদস্যরা ধান কাটায় সহযোগিতা করায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।’
Advertisement
বরুনাছড়ির কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘সপ্তাহখানিক পর পাকা ধান কাটার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি খুব দ্রুত বেড়ে গেছে। ধান ডুবতে শুরু করেছে। একসঙ্গে এত ধান কাটার শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছিল না। এসময় স্থানীয় আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন। আমার মতো অনেক কৃষক বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।’
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা আনসার কর্মকর্তা কমান্ড্যান্ট আনোয়ার হোসেন বলেন, ভারী বর্ষণে হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র কৃষকরা অর্থাভাবে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেননি। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
আরমান খান/এসআর/এমএস
Advertisement