দেশজুড়ে

রোহিঙ্গাদের রেখে স্থানীয় শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রোহিঙ্গাদের রেখে স্থানীয় শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ ক্যাম্পের স্কুল থেকে রোহিঙ্গা শিক্ষকদের চাকরিতে রেখে স্থানীয় এক হাজার ২৫০ শিক্ষককে একযোগে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থা কর্মসূচি ও এনজিও অফিস তালাবদ্ধ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

Advertisement

রোববার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে ঘণ্টাব্যাপী বৃষ্টি উপেক্ষা করে এসব কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তাদের হাতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

ভুক্তভোগীরা জানান, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ করে এনজিও ব্র্যাক, কোডেক, ফ্রেন্ডশিপ, মুক্তি, ধারা পরিচালিত স্কুলগুলোতে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা শিক্ষকরা চাকরি করেন। তারা রোহিঙ্গা শিশুদের বার্মিজ ও ইংরেজি ভাষায় পাঠদান করে যাচ্ছেন। হঠাৎ করে অর্থ সংকট দেখিয়ে এনজিওগুলো রোহিঙ্গা শিক্ষকদের চাকরিতে রেখে স্থানীয় এক হাজার ২৫০ জন শিক্ষককে একযোগে চাকরিচ্যুত করে। আরও তিন হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া চলছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা হাইওয়ে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে টেকনাফ চাকমারকুল ২১ নম্বর ক্যাম্পের ব্র্যাক অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

Advertisement

আন্দোলনকারী শিক্ষক বোরহান উদ্দিন বলেন, ‌‘রোহিঙ্গা শিক্ষকরা চাকরি করতে পারলে আমরা কেন পারবো না? আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল না করলে আন্দোলন চলতে থাকবে।’

হোসনে আরা নামের আরেক শিক্ষক বলেন, ‘আমরা স্থানীয়রা কী দোষ করেছি? বিনা কারণে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষকরা মিছিল করেছেন। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অর্থ সংকটে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এডুকেশন প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে শুনেছি। স্থানীয় শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে।

Advertisement

জাহাঙ্গীর আলম/এসআর