তৈরি পোশাক কারখানা মালিক মতিউর রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের এক আদালত। বান্দরবানের পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ১৫ হাজার ইউনিফর্ম উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার হন মতিউর রহমান।
Advertisement
তদন্ত কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইব্রাহিম খলিল শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। মতিউর রহমান পাহাড়তলী থানার ডিটি রোডের ‘নুর ফ্যাশন অ্যান্ড গার্মেন্টস’ নামের পোশাক কারখানার মালিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৭ মে রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার নুর ফ্যাশন অ্যান্ড গার্মেন্টস নামের কারখানা থেকে ১৫ কেএনএফের ১৫ হাজার ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বায়েজিদ বোস্তামী থানার এক পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন।
Advertisement
এর আগে ২৬ মে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় রিংভো অ্যাপারেলস নামের পোশাক কারখানার গুদাম থেকে ১১ হাজার ৭৮৫টি এবং ১৭ মে নয়ারহাটের কারখানা এবং পাশের মুজাফফরনগর আবাসিক এলাকার ওই কারখানা থেকে কেএনএফের ২০ হাজার ৩০০ সেট ইউনিফর্ম জব্দ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় ওই কারখানা মালিক সাহেদুল ইসলাম, ইউনিফর্ম তৈরির দুই ফরমাশদাতা গোলাম আজম এবং নিয়াজ হায়দারকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই ঘটনায় বায়েজিদ থানায় একই আইনে আরেক মামলা হয়। ওই মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, নিষিদ্ধ সংগঠন কেএনএফের সদস্যরা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলার বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র অবস্থান করে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, হত্যা, অপহরণ, গুমসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে। গ্রেফতার ও অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে অবৈধভাবে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।
গত বছরের ২-৩ এপ্রিল বান্দরবানের থানচি ও রুমার দুই ব্যাংকের তিন শাখায় ডাকাতি করে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা।
এমডিআইএইচ/কেএসআর/জিকেএস
Advertisement