টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলার আখাউড়ার অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি উঠেছে স্থলবন্দর এলাকায়। এতে ঘরবাড়ি, সবজিক্ষেত, পুকুর, রাস্তাঘাটের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Advertisement
এলাকাবাসী ও প্রশাসন সূত্র জানায়, তিনদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ত্রিপুরার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সীমান্তবর্তী নিম্ন এলাকায় আকস্মিক পানি বাড়তে শুরু করে। স্থলবন্দর এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা কালন্দি খাল দিয়ে সকাল থেকে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি হু-হু করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে।
এতে করে দক্ষিণ ইউনিয়নের আখাউড়া-আগরতলা সড়কের দুপাশের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, রহিমপুর, সাহেবনগর, মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া উমেদপুর, সেনারবাদী, কুসুমবাড়ি আওরারচর, ছয়ঘরিয়া, বাউতলা, নোয়াপাড়া, নিলাখাদ, টানুয়াপাড়া, উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টনকি, ইটনা, কর্নেলবাজারসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। পানির তোড়ে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া জানান, ‘শনিবার রাত থেকে বন্দরের আশপাশে পানি বাড়তে থাকে। পানি যেভাবে বাড়ছে এতে করে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
Advertisement
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, ‘হাওড়া নদীর পানি স্বাভাবিকের গতিতেই বয়ে যাচ্ছে। এখনো বিপৎসীমা পার করেনি। কোথাও বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি।’
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিএম রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’
আবুল হাসনাত মো. রাফি/আরএইচ/জিকেএস
Advertisement