জাতীয়

সাভারে কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে অপহরণ, ৯৯৯-এ কল করে উদ্ধার

সাভারে কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে অপহরণ, ৯৯৯-এ কল করে উদ্ধার

সাভারের হেমায়েতপুরে একটি কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে অপহরণের শিকার হন মনির (৩৫) নামের এক যুবক। এরপর মনিরের পরিবারের কাছে দাবি করা হয় ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি জানান মনিরের এক সহকর্মী। এরপর অভিযোগের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ভাটারা থানার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

রোববার (১ জুন) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য জানান।

আনোয়ার সাত্তার বলেন, গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে রাকিব নামের এক কলার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকার ভুলতা থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, তিনি এন জেড ফেব্রিকসে কাজ করেন। তার এক সহকর্মী সাভারের হেমায়েতপুরে একটি কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে অপহরণের শিকার হন। অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীর বাড়ি ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। কিছুক্ষণ আগে অপহৃত সহকর্মী তাকে ফোন করে বলেন, তিনি অনেক বড় বিপদে আছেন, দ্রুত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলেন।

আরও পড়ুনশেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

আনোয়ার সাত্তার আরও বলেন, অপহৃত ব্যক্তি তার সহকর্মীকে আরও জানান- রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডের বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বাসায় তাকে আটকে রাখা হয়েছে। কলার তার সহকর্মীকে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান।

Advertisement

তিনি বলেন, কলটি রিসিভ করেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মো. সাজিদুল ইসলাম। কনস্টেবল সাজিদ তাৎক্ষণিক ঢাকার ভাটারা থানায় বিষয়টি জানান এবং দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান। পরবর্তীসময়ে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ভাটারা থানা পুলিশ অপহৃতের অবস্থান শনাক্ত করে কুড়িল বিশ্বরোডের একটি বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় অপহৃত মনিরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যান।

এ সংক্রান্ত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার।

কেআর/কেএসআর/জেআইএম

Advertisement