সিলেটে টানা তিনদিনের ভারি বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে নদনদীর পানি। জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন, ধলাই ও লোভাছড়াসহ সব নদনদীর পানি বাড়ছে। কয়েকটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে।
Advertisement
শনিবার (৩১ মে) দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সুরমা নদীর পানি বেড়ে গেছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড কর হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী তিনদিন টানা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
Advertisement
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি নগরীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮২ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, সিলেটের উজানে মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে উজানের বৃষ্টিপাতের পানি সিলেটের নদনদী দিয়ে পাহাড়ি ঢল হিসেবে নামছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর পানি কানিশাইল পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র ৯ সেন্টিমিটার নিচে আর কুশিয়ারার পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার একেবারে কাছাকাছি পৌঁছেছে।
Advertisement
এদিকে জকিগঞ্জ, বালাগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও বিশ্বনাথ উপজেলার অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের কর্মকর্তা ও সচিবদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আহমেদ জামিল/এএইচ/জেআইএম